পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজেকে এই প্রশ্ন করে সুনীল। প্রশ্ন করতেই হবে, সোজা বাস্তব একটা হিসাব নাকচ করে দিলে তার মানে খুজতেই হবে। মায়াও প্রশ্ন করে, কেন ? ওরা বড়লোক, হয়তো কোন সুবিধা করে দেবে, এই প্ৰত্যাশা করছেন ? সুনীল বলে, বড়লোক বলেই প্ৰত্যাশা কম করছি। কৃপণ মেয়ের বাবাকে চোখেও দেখলাম না, মেয়েই সব। হিসেবী পাকা মেয়ে। “ মায়া একটু হাসে ।-মেয়েটাকে পছন্দ হয়েছে বলে ? সুনীলও হাসে ।-ওরে বাবা ! ওই মেয়ে আমায় পাত্তা দেবে ? আপিসের বড়বাবুর মত পচিশ টাকার মেহনৎ আদায় করে ছাড়বে। মায়া খানিকক্ষণ চেয়ে থাকে । তাহলে ওই জন্যই এ কাজটা নিয়েছেন। ওদিক দিয়ে কোন ভয় নেই, আপনাকে পাত্তাও দেবে না ! সুনীল নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকে। " মায়। আবার বলে, যাদববাবুর মেয়র বেলা ভয় আছে, তার ওপর আবার বিয়ের যুগ্য মেয়ে, বয়সে চেহারায় আপনার সঙ্গে খাসা মানায় ! সুনীল নির্বোধের মত চেয়েই থাকে । * মায়া হাসে না। তাকেও খুব বিচলিত মনে হয়। মৃদুস্বরে সে যেন নিজের মনেই বলে, এবার বুঝেছি আপনার ব্যাপারটা। আপনার হল ফাদের ভয়, আপনি ইফাদ এড়িয়ে চলেন । সুনীল এবার বলে, কিন্তু কেন ? এটা কি রোগ না বিকার ? মায়া বলে, রোগবিকার কেন হবে ? আপনার ধাতটাই এরকম। তখনকার মত মায়ার কথাটা খুব মনে লাগে। তার ধাতটাই এ রকম, সে অস্বাভাবিক নয়, বিকারগ্রন্ত নয়। কিন্তু জিজ্ঞাসার জের কি এত সহজে মেটে এ জগতে ! ধীরে ধীরে আবার প্রশ্ন জাগে । কেন তার ধাত এ রকম কেন ? Sty