পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার স্নেহ-মমতা আছে কি নেই, বাবা তা দেখতে আসবে না। কিন্তু স্বামী তো আর ছেড়ে কথা কইবে না। তার পাওনা দিতেই হবে। আমি জানি আমার সে সাধ্য নেই। বাবার সঙ্গে মানিয়ে চলছি কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনবে না। আমার ভয়ের কারণ হল এই । কেমন, ঠিক না ? এতদিনে নিজের হৃদয়-মনের গভীর রহস্য ভেদ করতে পেরেছে বলে মায়াকে বেশ খুন্সী মনে হয়। কিন্তু সে একেবারে ভড়কে যায় সুনীলের প্রশ্নে ! বনবে না ধরে নিচ্ছেন কেন ? বাবার যা কিছু আছে অৰ্দ্ধেক পাবেন, বাবাকে যেটুকু মানেন সেটুকু মেনে চললেই অনেক স্বামী কৃতাৰ্থ হয়ে যাবে। মায়া মাথা নাড়ে।-সে তো অন্য ভাবে মানিয়ে চলা। আমি জানি “আমি কিছুতেই পারব না। ভাবলেও বিশ্ৰী লাগে । গা ঘিন ঘিন করে । আমার মধ্যে রসকস নেই। কেন নেই ? মায়া বিব্রতভাবে হেসে বলে, যাঃ, আপনি সব গুলিয়ে দিলেন। ভাবছিলাম আসল ব্যাপারটা বুঝি স্পষ্ট বুঝে গিয়েছি। তা তো নয়, রসকস নেই কেন এটাই আসল প্ৰশ্ন। সবার আছে আমার নেই কেন ? আমারও কিন্তু নেই। সেদিন ছিল ছুটি । এক রকম কিছু না ভেবেই সুনীল প্ৰস্তাব করে, বহুদিন সিনেমা দেখি না । যাবেন ? বেশ তো । চলুন না । ওরা কোনটাতে গেছে জানেন ? সেখানে গেলে জানা যেত ওদের কি রকম ছবি পছন্দ। ছবিগুলি শুনছি। নাকি যাচ্ছেতাই হচ্ছে আজকাল,- ६'éकb† छांछ् । R