পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া বলে, ছায়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ওর কোন চেনা মেয়ে দেখেছে, সে নাকি বলেছে, ছবি ভাল নয়। কিন্তু বেশ মজার ছবি । তাহলে হাসির ছবি হবে। হাল্কা ভাড়ামির ছবি। তৰু চলুন দেখে আসি । অনিল আর ছায়া দেখতে গিয়েছিল বিকালের শো’তে। চৈত্রের মাঝামাঝি, বেলা খানিকটা বড় হয়েছে। ভিড়ের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে অনিল ক্রুদ্ধস্বরে বলে, এখুনি বাড়ী ফিরতে হবে। কবে পাশ করব, চাকরী করব, তবে দুটো টাকা পাব। এমন রাগ হয়। ভাবলে ! ছায়া হাতের একগাছি চুড়ি খুলে তার হাতে তুলে দেয়, কথা বলতে গিয়ে চাপা উত্তেজনা আর আবেগে গলা তার কেঁপে যায় । মরে গেলেও বাড়ী যাব না এখন । এটা বিক্রী করা। বাড়ীতে কি বলবে ? বলব হারিয়ে গেছে । O অনিলের বিবেক নয়, পৌরুষে একটু বাধে। ইতস্ততঃ করে বলে, তোমার फूख्रि दिौ क८ब्र ছায়া ফুসে বলে, তোমার টাকা আমার চুড়িতে তফাৎ আছে নাকি ? ছবিতে দেখলে না মেয়েটা কি ভাবে এ যুক্তির পরে আর কথা কি ! “ সন্ধ্যাবেলা সেই ছবি দেখতে যায় সুনীল আর মায়া । শো ভাঙ্গাবার পর ভিড়ের সঙ্গে রাস্তায় নেমে এসে তারা দুজনেই যেন হাফ ছাড়বার জন্য খানিকক্ষণ বাক্যহার হয়ে থাকে । . শেষে মায়া বলে, গা ঘিন-ঘিন করছে। বাড়ী গিয়ে হাজার নাইলেও তো কাটবে না। ঠিক যেন দেশের বাড়ীর খাটা পায়খানার তলায় গিয়ে দু’ঘণ্টা সময় কাটিয়ে এলাম । R *