পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন ভারি চালাক ছেলে । টাইপ করার যন্ত্ৰে হাত দুটিকে ব্রেক কষিয়ে থামিয়ে সে বলে, অঘোরবাবু তিনটের মধ্যে এ রিপোর্টটা চেয়েছেন। নিজেই তাই টাইপ করছি ? কি করি বলুন ? এ ঘরে সুনীলেরও টেবিল চেয়ার, সেও ঠিক ডেস্কে বসা কেরাণী নয়। কিন্তু রমেশের দখল করা কেবিনেট টেবিল আর কুশন দেওয়া চেয়ারের সঙ্গে তার সাদামাটা কাঠের চেয়ার টেবিলের তুলনাই হয় না। ঠিক ইংরাজী সাহিত্যের বিদ্যা নিয়ে সুনীলের কাজটা করা যায় না । ভাগ্যে শুধু ইংরাজী সাহিত্যে পাশ করাটাই সে ছাত্রজীবনের একমাত্র ব্রত করেনি, টেকনিক্যাল বিদ্যায় পাশ করার জন্যও নিজেকে প্ৰস্তুত করছিল। নইলে অঘোরবাবুর দেওয়া এই চাকরী করা অসাধ্য হত তার পক্ষে । আজ রতনবাবুর আসনে রমেশকে ৰুসতে দেখে তার মনে হয়, সত্যই অসাধ্য ट्रङ कि ? বিদ্যাও কাজে লাগবে না। রমেশের, রতনবাবুর অভিজ্ঞতাও তার নেই। তবু সে যদি ও কাজ চালাতে পারে টেকনিক্যাল বিদ্যা ছাড়াই সেও বা পারত না কেন তার এই কাজ চালিয়ে নিতে ! এরকম কত অনাড়িই তো কত রকম দায়িত্বপূর্ণ পদ জুড়ে বসে আছে-বিদ্যা আর অভিজ্ঞতায় পাকা পোক্ত না হলে সে কাজ করা মানুষের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার । মনে মনে সুনীলকে সকলেই কম বেশী সমীহ করে। নবীনও করে-যন্তই সে সতেজে তর্ক করুক তার সঙ্গে । নবীনের কাছে সমীহ করা আর ভয় করা অবশ্য <क खिनिश नध। VV2