পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এমনও তো হতে পারে যে আপনার স্বামী বুনো মেয়েটাকে মজাতে যান নি, বাঁচাতে গিয়েছিলেন। নন্দ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সত্যই। বড় বড় চোখ করে তাকিয়েছিল। তার ভাব লক্ষ্য করে নিজের বক্তব্য আরেকটু স্পষ্ট করা উচিত মনে করেছিল সুনীল । মানুষ হঠাৎ একটা অপকৰ্ম করে বলতে পারে না তা নয়। কিন্তু এটা স্রেফ একটা আলগা থিয়োরী। কি ঘটনা সঠিক না জেনে, অকাট্য প্ৰমান না পেয়ে, কোন মানুষ সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত করা চলে না যে সত্যই সে অন্যায় কাজটা করেছে । ওরকম আন্দাজী বিচার মানুষ নিজের সুবিধার জন্য করে । বিনা বিচারে আটক আইনটা যেমন দেশের ভালর নামে শাসকদলের সুবিধার জন্য, আন্দাজে একটা মানুষকে খারাপ ভাবাও তেমনি নিজের সুবিধার জন্য । নন্দা উত্তেজিত হয়ে বলেছিল, দেখুন, এমন আশ্চৰ্য্য ব্যাপার। আমিও মনে মনে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । আমি তো ভাল করেই জানতাম মানুষটাকে । পাঁচ বছর একসাথে ঘর করেছি ! হঠাৎ ওরকম, তার মতি হয় কি করে ? আপনি যে আমার কি উপকারটা করলেন আজ । পরদিন দেখা গিয়েছিল। থান পরে নন্দা বিধবার বেশ ধারন করেছে। কেমন দেখাচ্ছে ? সুনীল প্ৰশান্ত মুখে তাকিয়েছিল, কিছু বলে নি । ছেলেমানুষি ভাবছেন তো ? কেন তা ভাবব ? আপনার কাছে এটা কত গুরুতর ব্যাপার জানি न उाग् ि? কয়েকদিন বাদেই আবার সে আগের মত কুমারী বেশ ধারণ করেছে। পড়ার তাগিদে সকলকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিলেও নন্দ পড়ায় মন দিতে 臀研得