পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাবার জন্য সে যে খুব খাটছে সেটা স্পষ্টই বোঝা যায়। তিনমাস আগেও মুখে তার কমনীয়তা ভেসে থাকত। সেটা প্ৰায় উপে গেছে। এসেছে একটু শুকনো ভাব-দৃঢ়তা ব্যাঞ্জক রূক্ষ্মতা। বড় বড় পরীক্ষার আগে ছেলেমেয়েদের কঁাচা মুখে যে ভাবটা আসে। নিজে থেকে কোনদিন তার কোন ব্যক্তিগত বিষয়ে সুনীল কৌতুহল প্ৰকাশ করে না । বোধ হয় পড়া সংক্রান্ত ব্যাপার বলেই সে আজ জিজ্ঞাসা করে, কি অসুবিধা হচ্ছে ? অসুবিধা ? এখন তো অসুবিধা নেই। কদিন ভারি অস্বস্তি বোধ করছিলাম, তাই আবার আগের মত বেশ করেছি। আমি পাডার কথা বলছিলাম। মন বসছেনা কেন ? নন্দ আনমনে একটু ভাবে। মন বসছে না কেন শুনবেন ? খবরের কাগজটা আসলে আমার-আমি कांडब्रि भांविक । শচীনবাবুর নয় ? () না। আমার স্বামী কাগজটা বার করেছিলেন । নন্দ যেন খানিকটা আনমনা অবস্থায় ধীরে ধীরে ‘দি পিপলস ভয়েন্স” কাগজটি বার করার কাহিনী বলে যায়। তার কাছে এ ভার মন থেকে না নামালে পড়ায় তার মন বসবে না জেনে, সুনীলও নীরবে শুনে যায়। দেশ ভাগ হয়ে স্বাধীনতা আসবার সময় প্রমোদের খবরের কাগজ বার করার ঝোক চাপে । এই তো উপযুক্ত সময়। যে বিরাট পরিবর্তন ঘটতে চলছে চারিদিকে, ভবিষ্যতের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা যেন কোন দলের স্বার্থে दाखिन्द्र क्षig२f दाझाङ ना श्श्व, भूद्ध ना श्ध्र ! আজকের দিনেই সবচেয়ে বড় দরকার একটি নিভীক নিরপেক্ষ সংবাদপত্রের, দেশের মানুষের স্বাৰ্থ ছাড়া, যে কাগজ আর কিছুই বড় করে দেখবে না। যে কাগজ সহজ স্পষ্ট পরিস্কার ভাষায় দেশের লোকের কাছে খুলে ধরবে NS