পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌরী অনেক ভেবে চিন্তে নিশ্বাস ফেলে বলে, আচ্ছা বেশ দিচ্ছি। এবারকার মত। তুই আমাকে শেষ করবি অনিল! কার কাছে চাইবে ? বাবার কাছে ? চেয়ে এনে দিতে পারব না। লুকিয়ে দশটা টাকা নিয়ে আসছি-হিসেবে কম পড়লে যখন জিজ্ঞেস করবে বলব আমার দরকার ছিল, নিয়েছি। অনিল সঙ্গে সঙ্গে জোর দিয়ে বলে, না না, ছি! আমার জন্যে চুরি করবে ? টাকা চাই না। আমার। গৌরী ব্যাকুলভাবে বলে, বিপদের কথাটা বল না গিয়ে সুনীলকে ? তোরা যত ওকে কঠিন ভাবিস, ও তত কঠিন নয়! সত্যি মুস্কিলে পড়েছিস বুঝলে ব্যবস্থা করে দেবে । দাদাকে সে কথা বলা যায় না । একটা কিছু বানিয়ে টানিয়ে বল না গিয়ে । মিছে কথা বলতে পারব না। মিছে কথা বলতে পারবে না। অনিল! ) মার্কিনী সিনেমা দেখে মাথায় রক্ত চড়ে যাওয়ায়-ছায়া, সন্ধ্যারাতে বাড়ী ফিরতে চায় নি, কানের দুল খুলে দিয়ে অনিলকে বলেছিল, টাকা যোগাড় কর । পৌরুষে একটু বেঁধেছিল অনিলের কিন্তু নীতিবোধে বাধে নি। দুল বিক্রীর টাকায় উদভ্ৰান্ত অশান্ত মানসিক রোগের দুঃখ তারা মন্থন করেছিল। হােটেলে আর ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া করা দু’ঘণ্টার বাসর ঘরে। কিন্তু কত দুল বিক্ৰী করার জন্য অনিলের হাতে তুলে দেবে ছায়া ? একটা দুল কোথায় পড়ে গেছে—একবার প্রথমবার এ কৈফিয়ৎ বাড়ীর মানুষ ČმiCol (თსჭ | আরেকটা দুল হারালেই তাদের সন্দেহ জাগবে। তার সঙ্গে ফর্তি করতে চায় অথচ ব্যাটাছেলে টাকার ব্যবস্থা করতে ሣttቕጻi, f፭ !