পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থাকলেও বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। আচমকা একদিন শুধু অবিশ্বাস্য রকম বেখাপ্পা, উদ্ভট নয় একেবারে মারাত্মক রকম গরম একটা সম্পাদকীয় বেরিয়ে গেছে বলেই হাঙ্গামা করার সুযোগ নেওয়া হবে না । কিন্তু ত্রুটি স্বীকার করা চাই-বলা চাই যে ভুল হয়েছে। পরিষ্কার স্পষ্ট ভাষায় সেটা ছাপাতে হবে। লেখাটি প্রত্যাহার করা চাই । প্ৰদ্যোত সোজাসুজি বলে, তা হয় না । অন্যসময় হলে করা যেত, এখন করা R: সুনীল বলে, লেখাটা তো ভুল করে ছাপা হয়েছে। হয় তো কারো ষড়যন্ত্রের ফলে ছাপা হয়েছে । ষড়যন্ত্র ? তাই তো মনে হচ্ছে আমার! নইলে ঠিক এরকম যোগাযোগের সময় লেখাটা বাপমাহীন অবস্থায় এভাবে ছাপা হয়ে বেরিয়ে যেতে পারে ? ভুল স্বীকার করতে তো কোন লজ্জা নেই ! প্ৰদ্যোত বলে, লজার কথা নয়। কলোকে ধরে নেবে যে এটা আমাদের ভয়যেমন আমার কাছাখোলা তেমনি আমরা ভীরু । আমাদের কাগজে, আমাদের অজান্তে এডিটোরিয়াল পৰ্য্যন্ত বেরিয়ে যায়, আবার কড়া কথা লেখার জন্য আমরা হাত জোড করে কর্তাদের কাছে ক্ষমাও চাই । এর একটা হতে পারে।--দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। হয় আমাদের অব্যবস্থা হয়েছে-নয় আমরা ভুল করে গাল দিয়েছি। গাল আমরা দিয়েছি ঠিকই, আরও খানিক দিলে হত। ওটাই বজায় থাকে-আমাদের অব্যবস্থাটা সংশোধন হোক । সকলে চুপ করে আছে দেখে প্রদ্যোৎ নন্দার দিকে চেয়ে আবার বলে, একজন সর্বস্ব দিয়ে জীবনপণ করে একটা কাগজ চালিয়ে গিয়েছিল—আমরা সেটা শুধু চালাচ্চি, আমাদের সম্পত্তি হিসাবে। শচীনের দিকে চেয়ে বলে, নন্দা তোমার মেয়ে না হলে, আমার বোন না হলে, সব কিছু দিয়ে এই কাগজটা করে সে বেচারা মরে না গেলে, আমরা কোন দাম SV