বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাশ্চাত্যধর্ম্ম ও বর্ত্তমান সভ্যতা - সুকুমার হালদার.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(৩)

ছাড়া আর কোথাও মুক্তি পাবে না।”[] এরূপ অবস্থায় বেচারা হিদেন কোথায় দাড়াবে?

 তা ছাড়া যে সব গুরুতর সমস্যা আছে তার মধ্যে দুই একটি মাত্র উল্লেখ করা যেতে পারে। ঈশ্বর একজন না ত্রিরূপী তিন জন! যদি এক হন্ তা’হলে নিশ্চয় অনন্ত কাল থেকেই তিনি একমেবাদ্বিতীয়ম্। পূর্ব্বে একজন ছিলেন পরে বিভক্ত হয়ে গিয়ে তিন জন হয়েছেন—পিতৃ-ঈশ্বর, পুত্র-ঈশ্বর এবং পবিত্র-প্রেতাত্মা ঈশ্বর—এটা সম্ভব হতে পারে না। বাইবলে লিখিত আছে যে জেহোবা মূসাকে সাক্ষাৎসম্বন্ধে ঈশ্বরতত্ত্ব ও জগতের উৎপত্তি স্থিতি লয় সম্বন্ধে যাবতীয় বিষয় সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ করে গেছেন। তিনি একে-শ্বরের কথাই বলেছেন। বর্ত্তমান খ্রীষ্টীয় জগতে যে ত্রিত্ত্ববাদ প্রচলিত দেখি তার কোনই উল্লেখ করেন নাই। কেহ কেহ বলেন চতুর্থ শতাব্দীকে St. Athanasius নামক Alexandriaর বিশপ প্রথমে ত্রিত্ত্ববাদ জারি করেন, আবার কেহ কেহ সে কথা প্রতিবাদ করে পঞ্চম শতাব্দীর বিশপ Hilaryকে ইহার প্রবর্তক বলে উল্লেখ করেন। সে যাই হ’ক, আমরা ধরে নেবো যে জেহোবা এরূপ গুরুতর বিষয়ে মুসাকে ভূল বা অসম্পূর্ণ উপদেশ দিয়েছিলেন—না আমরা বুঝবো যে ত্রিত্ত্ববাদটা তার অনেক পরে মানুষের মাথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে? স্পষ্ট দেখা যাচ্চে যে কালক্রমে এক ঈশ্বরকে বিভক্ত করে তিন অংশ করা হয়েচে, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে ভগবানের অমৃতময় মাতৃভাবটাই ধারণা করা হয়নি। রোমন


  1. Matt. xvi—19.
    “This true Catholic faith out of which no one can be saved.” (Creed of Pope Pius IV). See also the seventeenth article of the Syllabus of Errors published by Pope Pius IX in the nineteenth century.