(৯)
খ্রীষ্টাব্দে কনষ্টানটিনোপল নগরে খ্রীষ্টান জগতের রাজধানী স্থাপিত হয়। তুর্কীদের দ্বারা ঐ নগর ১৪৫৩ সালে অধিকৃত হওয়া পর্য্যন্ত ঐখানেই রাজধানী ছিল। এই এগার শত বৎসর ইউরোপের অবস্থা কেমন ছিল এবং খ্রীষ্টান ধর্ম্মের গুণে ইউরোপীয় লোকেরা জ্ঞান ও সভ্যতায় কতদূর উন্নতি লাভ করেছিল সেটা প্রণিধান করে দেখা কর্ত্তব্য। এই সময়ে ইউরোপে অনবরত রক্ত-স্রোত বহে গিয়েছিল এবং এতদূর অজ্ঞতা পেগান রোমের আমলে কখনই ছিল না।[১] গ্রীক ও লাটিন সাহিত্যের অমূল্য রত্ন খ্রীষ্টানদের হাতে পড়ে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।[২]
দু’তিন বৎসর আগে জার্ম্মানরা যে লুভ্যাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ও পুস্তকাগার ধ্বংস করেছিল সেটা অভিনব ব্যাপার নয়। পূর্ব্বতন খ্রীষ্টানদের অনুকরণ মাত্র। পূর্ব্বতন গ্রীক ও রোমানেরা শিক্ষার উন্নতি সম্বন্ধে বিশেষ যত্নবান ছিলেন। কিন্তু তাঁদের পরবর্ত্তী খ্রীষ্টানেরা রাষ্ট্রীয় অধিকার পেয়েই এথেন্স নগরের বিশ্ববিদ্যালয় উঠিয়ে দিলেন। Gibbon বলেন, খ্রীষ্টানেরা এতদূর কুসংস্কারের বশীভূত হয়েছিলেন, যে তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তিও জ্ঞানের আদৌ বিকাশ পায়নি।[৩] আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে তৎকালে ইস্লাম সম্প্রদায় জ্ঞানোন্নতির বিষয়ে বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। Gorham সাহেব ইতিহাসের উল্লেখ করে
- ↑ See Note III.
- ↑ “The remains of Greek and Latin literature which the monastaries preserved, in ignorance of their nature, are small compared with the quantity which Christian bigotry destroyed. It was by an orthodox ecclesiastic that the Alexandrian library was pillaged out of existence―Chistianity and Civilisation.
- ↑ “Their credulity debased and vitiated the faculties of the mind; they corrupted the evidences of history, and superstition gradually extinguished the hostile light of philosophy and science.” —Gibbon, ch. xxxvii.