বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পাষাণের কথা.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পাষাণের কথা

আহার নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া বিরলকেশ শ্বেতাঙ্গ তাহাদিগের কার্য্য নিরীক্ষণ করিতে লাগিল, তাহার জীবনে এমন সৌভাগ্য বোধ হয় আর কখনও হয় নাই। ধীরে ধীরে পরিক্রমণের পথ, বেষ্টনীর ধ্বংসাবশেষ, যশোধর্ম্মের যুগ, কনিষ্কের যুগ, ধনভূতির যুগ ভূগর্ভ হইতে নির্গত হইয়া পুনরায় সূর্য্যালোক দর্শন করিল। শ্বেতাঙ্গের নির্দ্দেশানুসারে বর্ব্বরগণ প্রাচীন পাষাণখণ্ডগুলি উত্তোলন করিয়া আমার পার্শ্বে আনয়ন করিল। তাহার পরে আমাদিগের অঙ্গে সযত্নে কার্পাস ও বস্ত্রের আচ্ছাদন দিয়া আমাদিগকে কাষ্ঠাধারে আবদ্ধ করিল।

 মনে হইল যেন কোথায় চলিতেছি, তাহারা আমাদিগকে গোযানের সাহায্যে কোথায় লইয়া যাইতেছিল। একস্থানে আমাদিগকে গোযান হইতে উত্তোলন করিয়া যানান্তরে স্থাপন করিল। দ্বিতীয় যান অত্যন্ত দ্রুতগামী, সেরূপ দ্রুতগামী বাহন আমি কখনও দেখি নাই, বায়ুর বেগ অনুভব করিয়া বুঝিতেছিলাম যে অত্যন্ত দ্রুতবেগে পথ অতিবাহিত হইতেছে। কয়েক দিবস পরে যাহারা আমাদিগকে লইয়া যাইতেছিল, তাহারা পুনরায় আমাদিগকে যানান্তরে স্থাপন করিল, অনুভবে বুঝিলাম পুনরায় গোযানে আরোহণ করিয়াছি। সেই দিনই পুনরায় দিবালোক দর্শন করিলাম, শত শত লোক আমাদিগকে দর্শন করিতে আসিল, তদবধি এই স্থানেই অবস্থান করিতেছি।