মথুরায় সদ্ধর্ম্মের অনুচরগণ একটি স্তূপ নির্ম্মাণ করিতেছেন, তোমাদিগের রাজা ধনভূতি মথুরাবাসীদিগকেও অর্থসাহায্য করিতেছেন ও সেই সাহায্যে স্তূপ-বেষ্টনীর কয়েকটি স্তম্ভ নির্ম্মিত হইতেছে। মহারাজের আনুকূল্যে তোমাদিগের স্তূপের চতুষ্পার্শ্বস্থ তোরণ-চতুষ্টয় নির্ম্মিত হইবে। অবশিষ্টাংশের ব্যয় প্রকৃতবিশ্বাসীগণ বহন করিবেন। ভরসা করি, সদ্ধর্ম্মের পুনরুত্থান ও ব্রাহ্মণ্যধর্ম্মের পতন হইবে। যে অশ্মরাশি সঞ্চিত হইয়াছে তাহা দ্বারা নির্ম্মিত গগনস্পর্শী স্তূপ আচন্দ্রার্কক্ষিতি সমকাল সদ্ধর্ম্মের উন্নতির সাক্ষীরূপে বিরাজ করিবে।”
এই সময়ে নগরের দিকে রাজপথে ধূলি উত্থিত হইল; কিয়ৎক্ষণ পরে দৃষ্ট হইল জনৈক অশ্বারোহী দ্রুতবেগে আমাদের দিকে আসিতেছে। নিকটবর্ত্তী হইলে জানা গেল সে ব্যক্তি একজন নগররক্ষী; নগরে পশ্চিম দেশবাসী কয়েকজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির আগমন সংবাদ রাজসমীপে নিবেদন করিতে আসিয়াছে। রাজা ও পূর্ব্বোক্ত বৃদ্ধ, সংবাদ প্রাপ্তি মাত্রেই, নগরে প্রত্যাবর্ত্তন করিলেন। দিন বৃদ্ধির সহিত প্রান্তরে জনসংখ্যার হ্রাস হইতে লাগিল; দ্বিপ্রহরকালে বিশাল প্রান্তর জনশূন্য হইয়া গেল।
পরদিন প্রত্যূষে রাজা ধনভূতি, বৃদ্ধ ধর্ম্মযাজক ও নগরের কতিপয় প্রধান ব্যক্তি অভিনব পরিচ্ছদধারী চারিজন বিদেশীয়কে সঙ্গে লইয়া শিলাসঞ্চয়স্থলে উপস্থিত হইলেন। ইহার পূর্ব্বে আর কখনও সে জাতীয় মনুষ্য দেখি নাই। যবন সমাগমে ভারতের যখন সর্ব্ববিষয়ে পরিবর্ত্তন সূচিত হইতেছিল, তখন আমি পর্ব্বতসানুদেশে—অর্দ্ধজাগ্রত অবস্থায়। তাহাদের কথা আমি পরে শুনিয়াছি। সেই প্রথম যবন দর্শনের দিনে তাহাদিগকে দেখিয়া যাহা ভাবিয়াছিলাম, তাহা বলিতেছি। দারিদ্র্য-