পাতা:পাহাড়ে মেয়ে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
দারোগার দপ্তর, ১৪৬ সংখ্যা।

পারিতাম না। কালীবাবু যে দালালী কার্য্য করিতেন, ক্রমে তাঁহার সেই দালালী কার্য্য করা বন্ধ করিয়া দিলাম। ইতিপূর্ব্বে কালীবাবু কখনও আমাকে এক পয়সা প্রদান করেন নাই, এখন তাঁহার নিজের সমস্ত খরচ পত্র পর্য্যন্ত আমি বহন করিতে লাগিলাম। কেবল তাহা নহে, তাঁহার পরিবারের খরচের নিমিত্তও আমি প্রত্যেক মাসে তাঁহাকে কিছু কিছু পাঠাইয়া দিতে লাগিলাম। কালীবাবুও অন্য কর্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া রাত্রিদিন আমারই নিকট থাকিতে লাগিলেন, এবং আমারই হৃদয়ের উপর তাঁহার নিজের কর্ত্তৃত্ব স্থাপন করিয়া পরম সুখে দিনযাপন করিতে লাগিলেন।

 “ক্রমে কালীবাবুই আমার সর্ব্বময় কর্ত্তা হইয়া পড়িলেন। দেনা-পাওনার হিসাব, খরচের টাকা, আলমারি-বাক্সের চাবি প্রভৃতি সমস্তই ক্রমে তাঁহার হস্তে পড়িল। আমার নিজের খরচপত্র প্রভৃতিও সমস্তই তাঁহারই ইচ্ছমত হইতে লাগিল। এইরূপে কিছুদিবস অতীত হইয়া গেল।”

অষ্টম পরিচ্ছেদ।


ভাঁটার টান।

 “এইরূপে দুই তিন বৎসর অতীত হইয়া গেল। কালীবাবুর উপর আমার এইরূপ ভালবাসা দেখিয়া অপরাপর সকলে আমার বাড়ীতে আসা একবারে প্রায় বন্ধ করিয়া দিলেন। সুতরাং আমার পূর্ব্বসঞ্চিত অর্থের উপর ক্রমে হস্ত পড়িতে লাগিল। কারণ,