পাতা:পীতাতঙ্কের প্রতিকার.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> oぐ。 পীতাতঙ্কের প্রতিকার হে-লি পত্নীদ্বয়ের অবাধ্যতা ও স্বার্থপরতার পরিচয় পাইয়া ক্রোধে ক্ষিপ্তবৎ হইয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিল ; কিন্তু তাহাদিগকে বিভিন্ন কক্ষে খুজিয়। পাইল না। অবশেষে সে পাকশালায় প্রবেশ করিয়া দেখিল তাহারা অপরাহের চা-পানে মনোনিবেশ করিয়াছে ! হো-'ল তাহাদিগকে সেই অবস্থায় দেখিয়া সক্রোধে বলিল,”হাই-আইআই ! তোমরা অত্যস্ত অবtধ্য স্ত্রী । তোমরা আমাকে নিদ্রিত দেখিয়। আমার আদেশ অগ্রাহ করিয়া তাড়াতাড়ি চলিয়া আসিয়াছ ; এই কাৰ্য্যে আমি তোমাদের দুষ্প্রবৃত্তির পরিচয় পাইতেছি । তোমাদের অবাধ্যতায় আবার নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটিয়াছে ; এজন্য তোমাদের যথাযোগ্য শাস্তি পাওয়া উচিত । আমি যদি তোমাদের এই অপরাধ ক্ষম। করি তাহা হইলে আমার কৰ্ত্তব্য অসম্পন্ন থাকিবে ; কিন্তু আমি জীবনে কখন কৰ্ত্তব্য-পালনে ঐট করি নাই । এজন্ত তোমরা আমার বিবাহিত পত্নী ও একান্ত স্নেহের পাত্রী হইলেও আমি তোমাদিগকে শাস্তি না দিয়া স্থির থাকিতে পারিতেছি না ।”—সেই কক্ষের এক কোণে যে সম্মার্জনী ছিল তৎপ্রতি দার্শনিক প্রবরের দৃষ্টি আকৃষ্ট হইবামাত্র সে তাহ সংগ্ৰহ করিয়া তদ্বারা উভয় পত্নীর সর্বাঙ্গে ’ শপাশপ, শব্দে আঘাত করিতে লাগিল । সম্মার্জনীর আঘাতে তাহার পত্নীদ্বয়ের দেহ জর্জরিত হইল। তাহার দ্বিতীয়া পত্নীকে সে প্রথম পত্নী অপেক্ষা অধিক ভাল বাসিত ; তথাপি সে স্বামীর প্রতি কৰ্ত্তব্য পালনে শৈথিল্য প্রকাশ করিয়াছিল বলিয়া তাহার শাস্তির পরিমাণ অল্প হইল না । , দীর্ঘকাল প্রহার করিতে করিতে যখন ক্লান্ত হইল ও হাতে বেদন বোধ করিল তখন হো-লি প্রহারে বিরত হইল । হো-লি সম্মার্জনীকে ৰিশ্ৰাম দান করিয়া তাহার পত্নীদ্বয়কে বলিল, “ভবিষ্যতে যেন আর আমাকে এরূপ ব্যবহার করিতে না হয়।