পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদিন বিন্দু বলিল, দাদা আলমারির চাবি দাও । বই নেই ? শশী বলিল, বাঙলা বই বেশি তো নেই। আলমারিতে। বই যদি পড়িস তো আনিয়ে দেব শহর থেকে । আলমারিতে যা আছে তাই তো এখন পড়ি, শহর থেকে যখন আনিয়ে । сиск fе 离 শশী চাবির গোছাটা তাহার হাতে দিল । আলমারি খুলিয়া একখানা বই বাহির করিয়া আবার বিন্দু আলমারি বন্ধ করিলা বটে, চাবি ফেরত দিল না । বলিল, চাবি আমার কাছে থাক । তুমি তো বেড়াও রোগী দেখে, আর একটা বই বার করতে হলে সারাদিন তোমার দেখাই পাব না । শশী বলিল, গোছামুদ্ধি রেখে কি করাবি ? বই-এর আলমারির চাবিটা খুলে নে । বিন্দু বলিল, থাক না গোছাসুদ্ধই-ইচ্ছে হলে তোমার বাক্স-প্যাটরা ঘেটেও তো সময় কাটাতে পারব দু-দণ্ড ? বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাব না। আমি, চাবির দরকার হলে আমায় ডেকা । এমন সহজ ভাবে সে কথাগুলি বলিল যে শশীর মনে কোন সন্দেহই আসিল না । হয়তো অন্যমনস্ক ছিল বলিয়াও শশীর মনে পড়িল না ওষুধের আলমারিতে চার-পাঁচটা শিশির গায়ে লাল অক্ষরে বিষ লেখা আছে। বিন্দুকে সে যে কত দিন উৎসুক লোভাতুর দৃষ্টিতে ওষুধের আলমারির দিকে চাহিয়া পথাকিতে দেখিয়াছে খেয়াল করিলে তাও হয়তো শশীর মনে পড়িত। সেদিন বিকালে মাইল পাঁচেক দূরে একটা গ্রামে শশী রোগী দেখিতে LmD SsLLLB BBBLDLL SDBL sLLS Du BB EKBS S DBDDB KDBD পৌছিয়াই অন্দরে একটা গোলমাল শশীর কানে আসিল। বাহিরের ঘরগুলি অন্ধকার, জনপ্ৰাণী, নাই। কেবল সিন্ধু এক অন্ধকারে দাড়াইয়া মৃদুস্বরে কঁদিতেছে। শশী ভীত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, কি হয়েছে ৱে সিন্ধু ? সিন্ধু কঁাদিতে কঁাদিতে বলিল, মেজদি মরে যাচ্ছে দাদা । ভিতরে যাইতে শশীর পা উঠিতেছিল না । বিন্দু মরিয়া’ষাইতেছে ? কেন মরিয়া যাইতেছে ? সিন্ধু গুছাইয়া তাকে কিছু বলিতে পারিল না । তবু ব্যাপারটা অনুমান করিতে শশীর দেরি হইল না। সন্ধ্যার সময় কি যেন বিন্দু খাইয়াছিল, তাই এখন মরিয়া যাইতেছে। শশীর বুকের ভিতরটা হিম হইয়া গেল। ভাক্তার মানুষ সে, এ-রকম খবর পাইয়া জড়ভরতের মতো এখানে দাড়াইয়া থাকা উচিত নয়, এসব শশী বুঝিতে পারিতেছিল, তবু খানিকক্ষণ A er