পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে নড়িতে পান্বিল না। বিন্দু বিষ খাইয়াছে। মরিতে চায় বিন্দু দ’ পলিকের জন্য শশীর যেন মনে হয় বিন্দুর এ ইচ্ছা সফল হইতে দিলে মন্দ হয় না । আলমারিতে কি বিষ ছিল শশী জানে, সন্ধ্যার সমীয় বিন্দু যদি তাহ খাইয়া থাকে। ওকে সে বঁাচাইতে পরিবে । কিন্তু কি হইবে বঁাচাইয়া ? বিন্দু ছেলে মানুষ নয়, জীবন সম্বন্ধে দুগ্ধপ্ৰাপ্য অভিজ্ঞতা তাহার, ভাবিয়া চিন্তিয়া দুঃখের হাত এড়াইবার চরম পন্থাই সে যদি অবলম্বন করা ঠিক করিয়া থাকে, বাধা দেওয়া কি উচিত হইবে ? কপালের ঘাম মুছিয়া, বাহিরের বিস্তৃত অঙ্গন পার হইয়া কুন্দর ঘরের পাশ দিয়া শশী অন্দরের অঙ্গনে আসিয়া দাড়াইল । বিন্দু উঠানেই পড়িয়া আছে, নিজের বমির মধ্যে, বিক্ৰমস্ত বসনে । বাড়ির সকলে এবং পাড়ায় অনেকে চারিদিকে ভিড় করিয়া দাড়াইয়া আছে। শশীকে দেখিয়া সুকালে-কলরব করিয়া উঠিল। মুখরা কুন্দ সকলের কণ্ঠ ছাপাইয়া বলিল, ও শশীদাদা, কি কাণ্ড করছে বিন্দুদিদি দেখুন। মদের তীব্ৰ গন্ধ শশীর নাকে লাগিতেছিল, সে বিহািবলের মতো জিজ্ঞাসা করিল, কি হয়েছে রে কুন্দ ? কুন্দ বলিল, বিকেল থেকে যা কাণ্ড বিন্দুদিদি আরম্ভ করেছিল, *{fo Cfac\5 শশীদাদা ! এই হাসে, এই কঁাদে, এখুনি আবার গান ধরে দেয়-ভয়ে তো অামাদের হাত-পা সেঁদিয়ে গেল পেটের মধ্যে । কি করেছে-জানেন ? আপনার ওষুধের আলমারী খুলে আর কিছু শুনিবার দরকার ছিল না। শশী বিন্দুর কাছে গিয়া বসিল । নাড়া দেখিয়া কুন্দকে বলিল, এখানে এমন করে পড়ুে আছে, ধুইয়ে মুছিয়ে ঘরে নিয়ে শুইয়ে দিতে পারলি না তোরা কেউ ? কুন্দ কৈফিয়ত দিয়া বলিল, ধরতে গেলে কামড়াতে আসে যে । শশী বলিল, এখন তো হুশ ও নেই কুন্দ ? এক কলসী জল নিয়ে বি ইেন্দুকে শশী ক্ষমান করাইয়া দিল । তারপর কয়েকজনের সাহায্যে ধরাধরি করিয়া ঘরে শোয়াইয়া দিল । এও একটা কলঙ্ক বই-কি ! কদিন গ্ৰামে খুব একচোট হৈ-চৈ হইয়া গেল। ভদ্র পরিবারের অন্তঃপুত্বে এ কি বিসদৃশ কাও । পুরুষ মানুষ মদ খায়, মাতলামি করে, বমি করিয়া ভাসাইয়া দেয়, লোকে নিন্দ করে, কিন্তু আশ্চৰ্য হয় না । বাড়ির মেয়ে এমন S to a