পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোল তুলিবে না। এমন একটি পরিবারের খবর না লইয়া হারুর বাড়ির দিকে চলিতে সে যেন জোর পাইতেছিল না । খানিক আগাইয়া বাজাৱ । এখানে গ্ৰাম জমাট বাধিয়াছে। দোকানপাটের সংখ্যা কম নয় । কিন্তু বদলের রাত্ৰি গভীর হওয়ার আগে সবগুলি দোকানই এখন বন্ধ হইয়া গিয়াছে ৷ রাস্তার বঁা দিকে একটা ফাকা জায়গায় কতকগুলি টিনের চালা । একদিন অন্তর ওখানে বাজার বসে । কোথা হইতে এক সন্ন্যাসী আসিয়া একটা চালার নীচে অভিপ্ৰয় লইয়াছে । সম্মুখে তাহার ধুনির আগুন । আগুনে সন্ন্যাসী মোটা রুটি সেঁকিতেছিল । ওদিকের চালাটায় লোম-ওঠা শীর্ণ কুকুরটা থাবায় মুখ রাখিয়া তাহাই দেখিতেছে। শশী তাড়াতাড়ি আগাইয়া গেল। তার পা বার বার জলকাদা ভৱা গর্তে গিয়া পড়িতেছিল ! মনের গতির আজ সে ঠিক-ঠিকানা ८ऊच्व् िन ! শ্ৰীনাথ দাসের মুদিখানার পাশ দিয়া কায়েত-পাড়ার পথটা বঁহির হইয়। গিয়াছে । হারুরা ৰাড়ি- এই পথের শেষ সীমায় । তারপর আর বাড়িঘর नहेि । ক্রোশব্যাপী भांर्ट नेिeनicद्ध eड़िशा। अicछ ! পথের মোড়ে বকুল গাছটির গোড়া পাকা বঁধানে । বিকালের দিকে এখানে প্ৰত্যহ সরকারী আডডা বসে । আলোটা ওখানে নামাইয়া রাখিয়'; শশী একটা বিড়ি ধরাইল । চাহিয়া দেখিল, গাছের নীচে শুকনো ডাল ‘a কঁচা-পাকা পাতার সঙ্গে পাতার উপরে ন্যাকড়-জড়ানো একটা পুতুল পড়িয় আছে । পুতুলটা শ্মশী চিনিতে পারিল । বৈশাখ মাসে বাজিতপুরের মেলায় শ্ৰীনাথের দোকানে বসিয়া এক ঘণ্টা বিশ্রাম করার মুল্যস্বরূপ তাহার মেয়েকে পশতুলটা কিনিয়া দিয়াছিল। বিকালে বৃষ্টি থামিলে এখানে খেলিতে আলিয় } এনাথের মেয়ে পুতুলটা ফেলিয়া গিয়াছে । ت রাত্রে পুতুলের শোকে মেয়েটা কঁদিবে। সকালে বকুলতলা খুজিতে আসিয়া দেখিবে পুতুল নাই। পুতুল কে লইয়াছে মেয়েটা তাহা জানিতে পরিবে না । শশী কেবল অনুমান করিতে পরিবে যামিনী কাবরাজের বেী ভোর ভোক বকুলতলা বাট দিতে আসিয়া দেখিতে পাইয়া তুলিক্ষণ লইয়া গিয়াছে । ষামিনী কবিরাজের বেী চোরও নয়, পাগলও নয়। ৪ মাটির পুতুলে সে লোত্ত করে না । কিন্তু প্ৰণাম করিয়া ( যে গাছের তলা বঁধানো, সেটি দেবধর্মী ) YA Qo