পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখহাত ধুইয়া জামা-কাপড় পরিয়া সে মতিকে ডাকিয়া তুলিল। বলিল, দরজা দিয়ে বসে, আমি একটু বাইরে যাচ্ছি। কটা জিনিস কিনেই ফিরে আসব। কুমুদ বাহির হইয়া গেলে মতি দরজায় খিল বন্ধ করিল। মিনিট পনের পরেই দরজায় ঘা পড়িতে খিল খুলিয়া সে বলিল, এর মধ্যে ফিরে এলে p কিন্তু এ তে কুমুদ নয় । কুড়ি-বাইশ বছরের চশমা-পরা একটা ছেলে । মতিকে দেখিয়া, সে ও যেন অবাক হইয়া গেল । ঘরের ভিতর একবার চোখ বুলাই স্না আনিয়া বলিল, এঘরে আমার একজন বন্ধু থাকত। ঘর ছেড়ে চলে C2Cछ ei=डभि व् । মতি কিছু বলিতে পারিল না । পরশু দিন দেখে গোলাম আছে, এর মধ্যে সে গেল কোথায় ? কেমন যেন চোখ ছেলেটার, কেমন তাকানোর ভঙ্গি । * মতির ইচ্ছা! হইতেছিল। দরজাটা দাড়াম করিয়া বন্ধ করিয়া দেয়। কিন্তু ওর বন্ধু যদি এঘর ఫౌల్ లైts પૈકિ হইয়া গিয়া থাকে, দু-চারটে কথা জিজ্ঞাসা করিবার অধিকার হয়তো। ওর আছে । মতির ভয় করিতেছিল, জড়ানো গলায় সে বলিল, আমরা মোটে আজ সকালে এসেছি । এমনি সময়ে হঠাৎ ম্যানেজার অ্যাসিয়া হাজির ৷ বোধ হয় পাড়শই কোন মেম্বারের ঘরে ছিল । কাকে খোজেন ? এদিকে আসুন মশায়, সরে আসুন । মতি দরজাটা এবার বন্ধ করিল। শুনিল ছেলেটা বলিতেছে, শুমলবাবুকে খুঁজছি। শ্যামলবাবুকে ? শুষ্ঠামলবাবু তেতিলায় গেছেন একুশ নম্বরে । তার ঘরেই তো দেখলাম মশায় আপনাকে এতক্ষণ ? ব্যাপারখানা কি বলুন দেখি ? সারা দুপুরটা শু্যামলবাবুর সঙ্গে আডডা দিয়ে এখানে তাকে খুঁজতে vaCrict মতি বুঝতে পারিল, আশেপাশের ঘর হইতে দু-চারজন লোক বাহির হইয়া আসিয়াছে। একটা গোলমাল আরম্ভ হইয়া গেল। রুদ্ধ ঘরের ভিতরে মতি লাজায় ভয়ে কাঠ হইয়া রহিল । কোন দেশী ব্যাপার পূপে ܕܐ কি মতলব ছিল ছেলেটার ? এ কেমন জায়গায় কুমুদ তালঃ- শ্ৰীক ফেলিয়া rবসু গেষ্ট কল্প” একটু পরে গোলমালটা দূরে সঙ্গেয়া গিয়া অস্পষ্ট হইয়া আসিল, তারপর কেবারে থামিয়া গেল। ঘািষ্টসখানেক পরে দরজায় আবার ঘা পড়িতে S Vo