পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সফল হয় এবাৰু৷ কিন্তু নিজেকে এখানেও সে মিশ খাওয়াইতে পারে না। আজন্মের অভ্যাস ও প্ৰকৃতি ওখানেও ঘা খাইয়া আহত হয় । গায়ের চেনা রূপ, চেনা মানুষগুলির কথা মনে পড়িয়া মতির চোখ ছলছল করে । কতদিন ওদের সে দেখিতে পায় নাই। সন্ধ্যার সময় পরান হয়তো মোক্ষদা ও কুসুমের সঙ্গে তার কথা বলাবলি করে। শশীও হয়তো কোন দিন আসিয়া বসে। কবে কুমুদ তাহাকে গাওদিয়ায় লইয়া যাইবে কে জানে ! মতি বলে, এখেনে তো আমরা থির হয়ে বসলাম, এবার দাদাকে-একটি পত্র দাও ? কত ভাবছে ওরা । কুমুদ বলে, এর মধ্যে ভুলে গিয়েছ মতি ? कि ? कि छूटल टिश्वछि ? আমায় বলোনি গাওদিয়ার কথা ভুলে যাবে-কোন সম্পর্ক থাকবে না। গাওদিয়ার সঙ্গে। ভাল করে তোমায় আমি বুঝিয়ে দিইনি বিয়ের আগে, আমার সঙ্গে আসতে হলে জন্মের মতো আসতে হবে ? * চিঠি লেখালেখি চলবে না, তাও বক্সেছিলাম মতি । সেই কথা। তালবনের সেই অবুঝ বিহবল ক্ষণের প্রতিজ্ঞা ! কুমুদ সেকথা মনে রাখিয়াছে ? মতির বড় ভয়। কুমুদ যা বলিয়াছিল তা-ই সে স্বীকার করিয়াছিল বটে, কিন্তু সে তো তখন বুঝিতে পারে নাই রাজপুত্র প্রবীটম্বর পর্ভস্থ থাকিলেও গাওদিয়ার জন্য কোনদিন তাহার মন কেমন করিবে। নতুন - জীবন, নতুন জগৎ, পুতুলের মত কুমুদের হাতে নড়া-চড়া । - এ কল্পনাতেই डाइ cध डiविवाद्म বুঝিবার শক্তি থাকিত না । কুমুদ কি সেকথা আজি অক্ষরে অক্ষরে পালন করিবে নাকি ? মতি ক্ষীণস্বরে বলে, সে তো সত্যি নয় । তাই বুঝি ভেবেছিলে তুমি, তামাসা করছি ? দিন কাটিয়া যায় । জীবনে আর কোনদিন গাওদিয়ায় যাইতে পাইবে না ভাবিয়া মতির যখন কষ্ট হয় না, কঁচা মনে তখন কম-বেশি আশা-আনন্দের সঞ্চার হয়।. শৃঙ্খলার যথেষ্ট - অভাব থাকিলেও জীবন এখানে মোটামুটি নিয়মানুবতী । আর মাঝে মাঝে কুমুদকে যতই ভয়ানক, নির্মম ও পর মনে হোক, কি একটা আশ্চর্ষ মস্ত্ৰে কুমুদ তাহাকে মুগ্ধ করিয়া রাখে । একটু শিশুর শিখিয়াছে মতি । সে জানে আবোল-তাবোল খরচ কুব্লিম*আির্মত নিঃস্বই কুমুদ DBBDDS DB YYS YzDSSiTekkLSSLL তা ছাড়া চারিদিকে ধারা ! করিয়া রাখিয়া কপর্দক-শূন্য অবস্থাতেই কুমুদ যেন সুস্থ থাকে । টাকা দিতে S So“,