পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপালের সে এক স্মরণীয় কীৰ্তি । নলদলালের কারবার পাটের । চারিদিক হইতে পাট সংগ্ৰহ করিয়া জমা করিবার সুবিধা হয় এবং চালান দিবার ভাল ব্যবস্থা থাকে। এমন একটি মধ্যবর্তী গ্ৰাম খুজিয়া বাহির করিবার উদ্দেশ্যে বছর সাতেক আগে সে ५qकयदूि এদিকে আসিয়াছিল । গোপাল তাহাকে ভাকিয়া লইয়া গিয়াছিল নিজের বাড়ি, আদর-যত্ন করিয়াছিল। ঘরের লোকের মতো । তারপর কোথা দিয়া কি হুইয়া গেল কে জানে,-হয়তো নন্দলালের দোষ দিল, হয়তো ছিল না,- তিন দিন পরে গোপালের অনুগত গ্রামবাসীরা লাঠি হাতে দাড়াইয়া বিন্দুর BBBDS DDBBDDBDB S SDDDD S D DDS S DYKDBB S BBDBDS S DBDLL বাজিতপুরে পলাইয়াছিল। পরদিন মনিবের উদ্ধারে সে একেবারে -পুলিস লইয়া হাজির ! নন্দলাল ইচ্ছা করিলে কিছু কিছু শান্তি অনেককেই দিতে পারিত,-গম্ভীর বিষন্ন মুখে পুলিসকে কিন্তু সে-ই বিদায় করিয়া দিল । তারপর বৌ লইয়া সেই যে সে কলিকাতায় গেল,-গাওদিয়ার সঙ্গে আর কোন সম্পর্ক রাখিল না । যাই হোক, নন্দলালের কাছে বিন্দুবাসিনী হয়তো ఇ আছে । গ্রামের লোক সঠিক খবর রাখে না । সাত বছরের ञ८क्ष'दिन्मू ५sीक दादू भकि डिम দিনের জন্য বাপের বাড়ি আসিয়াছিল । গ্রামের ছেলে-বুড়ো তখন ঈর্ষার চোখে চাহিয়া দেখিয়াছিল,-অলঙ্কারে অলঙ্কারে বিন্দুর দেহে তিল ধারনের স্থান নাই, একেবারো যেন বাঈজী । তবু, হয়তো বিন্দু সুখে নাই ! নন্দর তো বয়স হইয়াছে, আর একটা স্ত্রী তো তাহার আছে, চরিত্রও সম্ভবত তাহার ভাল নয়। গাওদিয়াবাসী যাহাদের বিবাহিত কন্যাগুলি সারি - সারি দাড়াইয়া চোখের জলে ভাসে, তারা ভাবে, হয়তো বিন্দু হুখে নাই! ভাবিয়া তাহারা তৃপ্তি পায়। কেহ মুখ ফুটিয়া মনের কথা বলিয়াও ফেলে। গোপাল শুনিতে পাইলে আস্ফুট স্বরে বলে, লক্ষ্মীছাড়ার দল ! এমনি বাপের শাসনে শশী মানুষ হইয়াছিল। কলিকাতায় মেডিকেল কলেজে পড়িতে যাওয়ার সময় তাহার হৃদয় ছিল সঙ্কীর্ণ, চিন্তাশক্তি ছিল। ভেঁাতা, লুসবোধ ছিন্ন স্কুল । গ্ৰাম্য গৃহস্থের স্বকেন্দ্রীয় সঙ্কীর্ণ জীবন যাপৰোেলর মোটামুটি একটা ছবিই ছিল ভবিষ্যৎ জীবন সম্বন্ধে তাহার কল্পনার সীমা । কলিকাতায় থাকিবার সময়, তাহার অনুভুতির জগতে মার্জনা আনিয়া দেয় এবং বন্ধু । বন্ধুটির নাম কুমুদ, বাড়ি বরিশালে, লম্বা কালো চেহারা, বেপরোয় খ্যাপাটে স্বভাব । মাঝে মাঝে কবিতাও কুমুদ লিখিত । কলেজে Y VO