পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতির রাগকে শুধু নয়, তাহার গ্ৰাম্যতা ও সঙ্কীর্ণতাকেও জন্মা হাস্পক্সা উপেক্ষা করে। সঙ্কীর্ণতাও মতির এক বিষয়ে নয় , তারা আসিয়া পৌছিবার আগেই জয় যে সুযোগ পাইয়া ভাল ঘরখানা বেদখল করিয়াছিল, মতির মনে সে কথা গাথা হইয়া আছে। সোজাসুজি কিছু না বলিলেও নিজের অজ্ঞাতে কতবার সে মনোর ভাব প্ৰকাশ করিয়া ফেলিয়াছে । একই द्रश्च ऊ८द् ॥ পাশাপাশি উনান। মতি যেদিন ভাল মাছ-তরকারি রাধে, সেদিন রান্নাঘরের আবহাওয়া হইয়া থাকে সহজ । কিন্তু জয় যেদিন রান্নার ঘটায় তাহাকে ছাড়াইয়া যায় সেদিন মতির অস্বস্তির সীমা থাকে না । সে যেন ছোট হুইয়া যায় । আড়চোখীে• আড়াচোখে সে জিয়ার রান্না তরকারির দিকে তাকায়, মুখখানা কালো হইয়া আসে মতির। বনবিহারী জয়াকে বড় ভালবাসে, যত নির্বক ও নেপথ্যে হােক সে ভালবাসা, মতির ও বুঝিতে ঝুকি থাকে না । জয়ার কাছে তাই সে অন্ধকারে ইঙ্গিতে কুমুদের অসীম ভালবাসা প্ৰমাণ করিতে চাহিয়া হাস্যকর অবস্থার সৃষ্টি করিয়া বসে । জয়া নীরবে হাসে* * হাসছ যে দিদি ? ? হাসব না ? তুই যে হাসাস । মতি গভীর হইয়া বলে, অত হাসি ভাল নয়। জয়ার সঙ্গে খাপ খায় না মতির। মেলামেশা আছে, গল্পগুজব আছে, গ্ৰীতি যেন তবু জমে না। আত্মীয়ার মতো ব্যবহার করিয়াও জয়া যেন । অনাত্মীয়া হইয়া থাকে, ছোট বোনটির মতো তাহার প্রতি নির্ভর রাখিয়া মতি সুখ পায় না । মিলিয়া মিশিয়া যে দিনটা ভালই কাটে, সেদিন সন্ধ্যায় মৃত্যু ক্ষোভের সঙ্গে মনে হয়, সবই তো আছে, ভালবাসা কই ? আসিবার সুময় পথে ট্রেনে একটি বৌ-এর সঙ্গে মতির গলায় গলায় ভাব হইয়াছিল, এও যেন তেমনি পথের পিরিতি। এত ঘনিষ্ঠতায় সমবেদনার আনন্দ কই ? টাকাপয়সার এবং আরও কয়েকটি সুবিধার জন্যই কি তারা একত্র বাসা বঁধিয়াছে, আর কোন সম্বন্ধ গড়িয়া উঠিবে না। তাদের মধ্যে ? জয়ার দোষ নাই । কঁচা মনের উচ্ছসিত আবেগে সে যা চায়, খানিক উচ্ছােসািভরা আদর-মমতা, জম্মু ও কেন তা দিতে পরিবে ? তার শিক্ষা-দীক্ষা অন্য রকম। গ্রেয়ো বলিয়া অবহেলা সে মতিকে করে নুন্না, ব্ৰাধিতে শেখায়, চুল বাধিয়া দেয়, সন্ধুপদেশ, শোনায়, সাত্বনা দেয়। ভাবপ্রবণতা জয়াম্ম নাই। মতি তাকে নিষ্ঠুর ༦ འ6 l ཅ་ Soa