পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা ছাড়া জয়ার মনে একটা গভীর দুঃখ আছে। স্বামীর প্রতিভা তাহার ১. অর্থাভাৰে “ ব্যৰ্থ হইতে বসিয়াছে। বিবাহ সে করিয়াছিল আর্টিস্টকে, যার ভবিষ্যৎ ছিল ভাস্বর, ঘর সে করিতেছে। পটুয়ার । সমবেদনার প্রয়োজন। জয়ার নিজেরও কম নয়। অথচ মতি তার এ দুঃখের স্বরূপ বোঝে না। - একদিন শ্ৰীতিকে বলিতে গিয়া তাহার বুঝিবার শক্তির অভাবে জয়া আহত হইয়াছে। বিপুল সম্ভাবনাপূর্ব কত বড় একটা জীবন যে ঘরের পাশে পঙ্গু হইয়া আছে, মতির তাহা ধারণা করিবার ক্ষমতা পৰ্যন্ত নাই জানিয়া মেয়েটার প্রতি একটু বিরূপ হইয়াছে বই কি জয়ার মন । হাসিয়া উড়াইয়া দিলেও কুমুদ ও তার সম্বন্ধে মতির ঈর্ষণ ও সন্দেহটা কিছু কিছু জয় যে টের পায় নাই এমন নয়। বেপরোয়া কুমুদ যে জয়াকে কিছু কিছু ভয় করে মতি আজকাল তাহা বুঝিতে পারিয়াছে। এখানে সে যে অনেকটা সংযত হইয়া আছে তা জয়ার জন্যই ! এমন বাকাভাবে মতি জয়াকে এই কথাটা শোনায় যে জয়া মনে মনে রাগ করে । ༣ কি যে তুই বলিস ! কেন, আমাকে ভয় করে চলবে কেন ? তোমাক যেন সমীহ করে চলে দিদি ! কি করে তুই তা জানিলি ? v মতি সগর্বে বলে, আমি ওসব জানতে পারি দিদি, যত বোকা ভাব অত ८बीक च्यांत्रिं नोहे ! জয়া বিরক্তিভাবে বলে, তাই দেখছি । হোটেলে বনবিহারী অল্প সময়ের জন্য যাইত, তখন তাকে মতির যেরকম মনে হইয়াছিল। এখানে দেখিল সে একেবারেই অন্য রকম । ভয়ানক ব্যস্ত মানুষ, সময়ের সব সময়েই অভাব । ছবি আঁকিতে আঁকিতে শ্ৰাস্তিও কি অ্যাসে না লোকটার ! তুলিটি হাতে ধরাই আছে। প্ৰথমে মতির মনে হইয়ছিল সে বুঝি হাসি-তামাসা খুব ভালবাসে, হোটেলের ঘরে কি ভাবেই

  • লে হাসাইত মতিকে ! এখানে বনবিহারীকে তার মনে হয় একটু ভেঁাতা,

একটু নিস্তেজ । তার কাছে স্বামীকে জয়া একদিন যেরকম প্ৰতিভাবান তেজস্বী মানুষ বলিয়া প্ৰতিপন্ন করিতে চাহিয়ালি, বনবিহারী সে রকম একেবারেই নয়। বরং তাকে ভীরু বলা যায়। জয়াকে সে যে অন্তত খুব ভয় করে, কুমুদ্ধের চেয়ে বেশি, তাতে সন্দেহ নাই। এমন নিরীহ সাধারণ লোকটির So