পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়াছিল। হঠাৎ জয়া ও বনবিহারীর মধ্যে তীক্ষ কথার আদান-প্ৰদান মতির কানো আসিল । তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া মতি দেখিল, বিশিষ্ট ছবিখানাক্স সামনে তুলি হাতে আরক্ত মুখে বনবিহারী দাড়াইযা আছে। অদূরে জয়া । তার মুখও লাল, সে থারথার করিয়া কঁাপিতেছে। ফেলে দাও, ফেলে দাও। ও-ছবি ছুড়ে । প্রেরণা | ছবি আঁকতে জান। না, তোমার আবার প্রেরণা ! লাজ করে না প্রেরণার কথা বলতে ? ? জয়ার গলা রুদ্ধ হইয়া আসিল । বনবিহারী বুগি চাপিতে চাপিতে বলিল, এতকাল পরে এসব বলছি যে জয় ? এতদিন অন্ধ হয়ে ছিলাম যে, মুখেই যে তুমি বিশ্ব জয় করতে পার। বড় ৭ বড় কথা বলে ভুলিয়েছিলে আমায়-তুমি ঠিক জোচ্চোর ! বনবিহারী ভীরু, একথা সহ্য করিবার মতো ভীরু নয়। সে বলিল, তা হতে পারি। এতদিন যদি অন্ধ হয়ে ছিলে, আজ দিব্যদৃষ্টি পেলে কোথায় ? কে চোখ খুলে দিল শুনি ? কুমুদ নাকি ? তারপরেই জয়ার বঁটিতে ক্যানভাসখানা ফালা হইয়া গেল। কিছুক্ষণ স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া থাকিয়া বনবিহারী ঘরে ঢুকিয়া জামাটি হাতে করিয়া বাড়ির বাহির হইয়া গেল। জয়া ঘরে ঢুকিয়া বন্ধ করিল দরজা । বঁটিখানা তুলিবার সময় জয়ার বোধ হয়। হাত কাটিয়াছিল, কয়েক ফোটা অ্যাজা রূক্ত ८बांब्रांटिक eड़िशा वृश्दिन । 穹 * এসব কি ভীষণ দুর্বোধ্য ব্যাপার ? মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি জয়ার লেখাকি রান্না মতি সেদিন রাধিতে পারিল না । অনেকক্ষণ পরে দরজায় আস্তে আস্তে ধাক্কা দিয়া সে মৃদুস্বরে জয়াকে ডাকিল । বার কয়েক ডাকাডাকি করিতে ভিতর হইতে জয়া বলিল, যা মতি যা, বিক্কজ कचिज् न् ज्ध८क । ఫిళా ཧ་ ༤ কুমুদ ফেরা পৰ্যন্ত মতি চুপ করিয়া ঘরে বসিয়া রহিল। সে বড় বিপন্নবোধ করিতেছিল। এসব জটিল খাপছাড়া ব্যাপার সে বুঝিতে পারে না ; স্বামী-স্ত্রীর কলহ খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু এ কোন-দেশী কলহ ? জয়া যা বলিল, --বনবিহারী যা বলিল, কি তার মানে ? মতির মনে হইতেছিল। এর মধ্যে । কোথায় যেন তারও স্থান আছে, একেবারে জয়া ও বনবিহারীর মধ্যেই কলহটা সীমাবদ্ধ নয়। কি কারিয়াছে সে, কি দোষ তার ? কেহ যদি বলিয়া ঙ্কিত মতিকে ! অনেক বেলায় কুমুদ ফিরিয়া আসিল। ঘরে বসাইয়া চাপা। গলায় মতি তাহাকে যতখানি পারে গুছাইয়া সব বলিল প as