পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়া উঠিতেছিল। সংসারে হয়তো এমন অনেক আছে, মতির মতো এমন করিয়া ভাল হয়তো অনেকেই বার্টস, কিন্তু, মতি ইহা শিখিল কোথায় ? অনুভূতির এমন গভীরতা তাহর আসিল কোথা হইতে ? এ যে ভাব প্রবণতা নয়, কঁচা মনের অস্থায়ী আবেগ নয়, বালিকা মতির বিরহ-কাতরতায় এক অপূর্ব ধৈর্ধের সমাবেশ দেখিয়া শশী তা বুঝিতে পারিয়াছিল । স্টেশনে যখন তাহারা পৌছিল তখনও আকাশ-ভরা রোদ ৷ গাড়ি ছাড়িতে বিলম্ব ছিল। গাড়িতে ভিড় ছিল না, খানি কক্ষণ কামরার মধ্যে বসিয়া কুমুদের সঙ্গে কথা বলিয়া পর্যানকে ডাকিয়া শশী নামিয়া আসিল । বলিল, তোরা বোস, আমরা একটু ঘুরে আসছি । ওরা চলিয়া গেলে মতি পাংশুমুখে কুমুদকে বলিল, তুমি ষেও না। থাক৩ে পুৰুব না, মরে যাব । কুমুদ বলিল, স্টেশনে বিদায় দিতে এলে ওরকম মনে হয় মতি । কাল থেকে এমনি হচ্ছে । কাল থেকে হচ্ছে । কাল তো কিছু বলনি ? “আমি হচ্ছে যদি হোক না.-এও তো কম মজা নয়। মজা ?" সমস্ত পৃথিবী যে তার চোখে অন্ধকার হইয়া আসিতেছে, কুমুদ কি তা বুঝিতে পারিতেছে না, যে সব বোঝে ; কুমুদের নিষ্ঠুরতাকেও ভালবাসিতে শিখিয়াছিল, তবু আজ সে আহত হইল। পাশের লাইনে একটা যাত্রী-বোঝাই গাড়ি ছাড়িয়া গেল,-মতির মন তাহার চাকার তলে পিষিয়া LeDLYS BDB BBBD DBS BDB BLBDDS DDD S DD BDLDD DDD D কুমুদকে । এ গাড়ি ছাড়িয়া যাওয়ার পর বুকটা ফাটিয়া যাইবে, তবু সে তো শ্ৰীক্ষা করিতে পারিতেছে না। কেমন কঝিল্লা কুমুদকে সে তার ব্যাকুলতা বুঝাইবে এখন ? যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠিয়া কেউ কি ফেরে ? কুমুদের দুটি পা ধরিয়া সে যে কঁাদিয়া উঠিবে সে উপায়ও নাই। গাড়ির লোকগুলি বোধ হয়। ইহা করিয়া তার দিকেই চাহিয়া আছে । কুমুদ একথা ওকথা বলে, চিরদিনের মতো ধীর স্থির অবিচল কুমুদ । মতির কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিতে চায়, তবু প্ৰাণপণে সে কথার জবাব দেয়। মিনিটগুলি একে একে পার হইয়া যাইতে থাকে । গাড়ি ছাড়িবার অল্প আগে ফিরিয়া আসে। শশী ও পরান । কি কুক্ষণেই ওদের মতি কলিকাতা অসিতে লিখিয়াছিল । A O R