পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা কমে একটা বাড়ে, এই তো, নিয়ম জগতের । আকাশ্লের মেঘ কমে নদীর জল বাড়ে-নইলে কি জগৎ চলে ছোটবাবু? বিবাদ হয় নাই, বিবাদ আজাদের হুইবার নয়, তবু কুসুমের সম্বন্ধে শশীর মনে ভয় ঢুকিয়াছিল যে ব্যবহার যেন তার কড়া হইয়া উঠিতেছে। তাতে ভয়ের কি আছে। শশী জানে না, শুধু কষ্ট হইয়াছিল। এখন খুশী হইয়া শশী বলিল, কৌতুহল কমে কি বাড়ল ? কি জানি কিবাড়ল, একটা কিছু অবশ্যি বেড়েছে। পরানের কথা জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়া শশী এই সব কথা বলিল কুসুমের সঙ্গে । এই দরকারটাই তার যেন বেশী ছিল । তারপর চিলিয়া আসিবার আগে সে পরানের খবর জানিতে চাহিল। গলার ঘা কমিয়াছে পরানের। তেব কমিয়াছে ? ভালই হইয়াছে। বাজিতপুরের ডাক্তারের ওষুধেই তবে গলার ঘা কমিল পরানের ? শশীর ওষুধে বাড়িয়া গিয়াছিল। পরানের এত বড় অন্যায় ব্যবহারের কথা শশী ভাবিতে পারে না । বাড়াইবার সুযোগ দিয়া আর কমানোর সুযোগ দিল না, শশীর ওষুধে যে গলার ঘা তার বাড়িয়াছিল তাই হইয়া রহিল স্থায়ী সত্য ! একদিনের জন্য ওষুধ লাগাইতে নাই বা আসিতে নাই তার কাছে ? গলার ঘা ভাল হইয়া গিয়াছে পরানের। শরীর সারে নাই। অত বড় কাঠামো বলিয়া আরও তাকে রোগা দেখায় । একটা টনিক খাইলে*পারে । একটু ষ্ট্ৰিকনিন দিয়া শশী তাকে এমন টনিক তৈরি করিয়া দিতে পারে যে এক মাসে চেহারা, ফিরিয়া যাইবে,-রোগা শরীরে অত খাটে, মাসকুলার । ফেটিগে৷ ষ্ট্ৰিকনিন বড় উপকারী ! বলিতে বাধে শশীর । কে জানে তাঁর দেওয়া টনিক এক ডোজ খাইয়া শরীর আরও খারাপ হইয়াছে বলিয়া সে যদি আবার বাজিতপুরে সরকারী ডাক্তারের কাছে ছোটে ? শরীরের দিকে একটু তাকাও পরান ।--এটুকু বলে শশী । চাষা তো ছিলাম না ছোটবাবু, চাষার কাজটা সইছে না -বলে পরান, ললিয়া স্ট্রে একটু হাসে, তাও বেশির ভাগ জমি শ্বশুরের কাছে বাধা। শশী বলে, ছেলে তো নেই শ্বশুরের, তিনটি শুধু মেয়ে-যা আছে জামাইদের দিয়ে যাবে। জমি তোমার নামেমাত্র বাধা । , KDB sBBDtL B LDLLDS DBBS LLLBB DBY ggOOuu L LL LLL BLL LLDD BDuD DBLLD BK KD S