পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাগিয়া উঠিবে, আজ পর্যন্ত তাহা ঠিকমত বুঝিতে না পারিয়া সাির্কলে একটু বিপদগ্ৰস্ত হইয়া থাকে । পাড়ার লোক বলে, বৌ তোমাদের যেন একটু পাগলাটে, না গো →iच८न्नद्म यः ? মোক্ষদা বলে, একটু কেন মা, বেশ পাগল-পাগলের বংশ যে। ওর বাপ ছিল না পাগলা হয়ে, দু বছর,-শেকল দিয়ে বেঁধে রাখত ? ঘরে ঢুকিয়া কুসুম প্ৰদীপ জ্বলিল । গাল ফুলাইয়া সবে সে শাখে তিনবার ফুৰা দেওয়া শেষ করিয়াছে, উঠানে শোনা গেল শশীর গলা । বিছানার কাছে গিয়া কুসুম বলিল, সন্ধ্যে হতে না হতে খোজ নিতে ua fš মতি কোন জবাব দিল না । কুসুম আবার বলিল, ওলো মতি, শুনছিস ? সন্ধ্যেদীপ জ্বালাতে না জালাতে দেখতে এসেছে,-দরিদ কত ? ভারী জলচৌকিটা অবলীলাক্রমে তুলিয়া লইয়া গিয়া সে দাওয়ায় পাতিয়া দিল । বলিল, জ্বর কমেছে, ঘুমোচ্ছে এখন । মোক্ষদা বলিল, মতি আবার ঘুমোল বৌ ? এই মাত্তর সাড়া পেলাম যে ? শশী বলিল, তোমার শাখের শব্দেও মতির ঘুম ভাডাল না পরনের বে। ” সে জলচৌকিতে বসিল, ঘরের ভিতরে এক নজর চাহিয়া বলিল, পরান বিকেলে গিয়ে বলে এল জর নাকি এবেলা খুব বেড়েছে ? কুসুম বলিল, মিথ্যে বলেছে ছোটবাবু-একটুতে অস্থির তো ? জর কই ? মোক্ষদা বলিল, কি সব বলছি, তুমি আবোল-তাবোল, যাও না বাছা すi乳t守びマ「 l কুহুম বিনা প্ৰতিবাদে রান্নাঘরে চলিয়া গেল। মুখে কৌতুকের হাসি নাই.. গাম্ভীৰ্যও নাই । 总堂 শশী বলিল, সকালে যে ওষুধ পাঠিয়েছিলাম খাওয়ানো হয় নি ? মোক্ষদা বলল, তা তো জানি না বাবা, দেখি শুধোই মেয়েকে । রান্নাঘর হইতে কুহুম বলিল, ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে গো হয়েছেও চেঁচামেচি করে মেয়েটার ঘুম ভাঙােচ্ছ কেন ? ঘরের স্ক্রিতর হইতে ক্ষীপ্ৰকণ্ঠে মতি বলিল, আমি ওষুধ খাইনি মা । মোক্ষদা চোখ পাকাইয়া ব্রান্নাঘরের দিকে চাহিয়া বলিল, শুনলে’ৰাৰা, দিব্যি কেমন মিথ্যে কথাগুলি বলে গেল ৰৌ, শুনলে ? -ی " S