পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শশী বলিল, একথা কি করে বললে বেী, চিরকাল তোমার সঙ্গে তামাসা করেছি ? তামাসা নয় ? তবে ঠাট্টাক বুঝি ? শশী একটু রাগ করিয়া বলিল, তোমার কি হয়েছে বুঝতে পারছি না বেৰী । কুমম। তবু হালকা সুর ভারী করে না। বলিল, কি করে বুঝবেন ? মেয়েমানুষের কত কি হয়, সব বোঝা যায় না। হলেনই বা ভাক্তার! এ তো খািরজালা c3 শশী জ্বালা বোধ করে। এ কি আশ্চৰ্য যে কুহুমকে সে বুঝিতে পারে না, স্বচ্ছ স্নেহসিঞ্চিত অবজ্ঞায় সাত বছর যার পাগলামিকে সে প্রশ্ৰয় দিয়া ছিল ? শশীরঞ্জকটা দুর্বোধ্য কষ্ট হয়। যা ছিল শুধু জীবনসীমায় বহিঃপ্রাচীর, হঠাৎ তার মধ্যে একটা চোরা দরজা আবিষ্কৃত হইয়াছে, ওপাশে কত বিস্তৃত, কত সম্ভাবনা, কত বিস্ময় । কোন চোখ ছিল ছল করিল না। কুসুমের ? একবার DBLGLDBDBD DLBD DBL BtD KB DLD BDB YDtBDS DBS DD শেষ পৰ্যন্ত গেল, ফিরিয়া আসিল পনের দিনের মধ্যে । এখানে এমন ভাবে হয়তো এই তাদের শেষ দেখা, এ জীবনে হয়তো আর এত কাছাকাছি তারা আসিবে নৃত্যু, আর আজ একটু কঁাদিল না। কুসুম, গাঢ় সজল স্বরে একটি আবেগের কথা বলিল না ? কুহুমের মুখে ব্যথার আবির্ভাব দেখ্রিস্তুভ শশীর দুচোখ আকুল হইয়া ওঠে, অস্ফুট কান্না শুনিবার জন্য সে হইয়া থাকে উৎকর্ণ। কে জানিত কুসুমের দৈনন্দিন কথা ও ব্যবহার মেশানো অসংখ্য সংকেত, অসংখ্য নিবেদন এত প্রিয় ছিল শশীর, এত সে ভালবাসিত কুসুমের জীবনধার্থীয় মুহু, এলেমেলো, অযুরন্ত কাতরতা ? চিরদিনের জন্য চলিয়া যাইবে, আরু আজ এই তালবনে তার এত কাছে বসিয়া খেলার ছলে কুমম শুধু বাজাইবে চাবি ! কি অন্যায় কুসুমের, কি স্থষ্টিছাড়া পাগলামি পা দিয়া ছোট একটি আগাছা নাড়িয়া দিতে কার্যকর করিয়া শিশির ঝরিয়া পড়িল। শশীর মনে হইল কুসুমকে ধরিয়া এমনি কাকুনি দেয় যাতে তার চোখের আটকানো জলের ফোটাগুলি এমনিভাবে কারিয়া পড়ে এবং দুচোখ elমলিয়া সে তা দেখিতে পায় । কুসুম জিজ্ঞাসা করিল, কুখ্যা বলবেন বলে ডেকে এনে চুপচাপ কেন শশী বলিল, শুনলাম তোমরা নাকি গা ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তাই শুধোতে vstreat do