পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন তুচ্ছ । শুধু সেনদিদির জন্য তো নয়, আজি কতকাল হইল গোপালের মনে ভাবনা ঢুকিয়াছে, কিসের জন্য এসব । কার জন্য সে এতকষ্টে অর্থসম্পদ সংগ্ৰহ করিতেছে। একটা মেয়ে আছে সিন্ধু, দুদিন পরে ওর বিবাহ দিলে পরের ঘরে চলিয়া যাইবে, তখন কে থাকিবে গোপালের ? শশী ? শশীীর কাছে কোন আশা-ভরসাই সে রাখে না । বাপকে যে ছেলে ঘূণা করে, তার কাছে কি প্ৰত্যাশা থাকে বাপের ? ধরিতে গেলে সেই তো মনটা ভাঙিয়া ब्रिांछ citeigलद्म । এ বড় আশ্চৰ্য কথা যে কুসুমের মতো গোপালের মনটাও শশীই ভাঙিয়া দিয়াছে ! এ দুজনের মনের মতো হইতে না পারার অপরাধটা শশীর এতবড় ! ভাঙ৯মনটা লইয়া কুসুম সরিয়া গিয়াছে । গোপাল আজও হাল ছাড়ে নাই । ব্ৰহ্মচারীর কাছে মনোবেদনা ব্যক্ত করিয়া সে তফাতে যায়, ব্ৰহ্মচারী ডাকেন। শশীকে । বাবা শশী, তুমি বিদ্বান বুদ্ধিমান, তোমাকে বলাই বাহুল্য যে খেয়ালের চেয়ে কর্তব্য অনেক বড় । অজ্ঞেস্তু ইহঁ্যা । ব্যাপকে ভক্তিশ্রেদ্ধা করার চেয়ে বড় কর্তব্য ছেলের অার কি আছে ঠিক এমনি ভাবেই বলেন ব্ৰহ্মচারী, এমনি ভূমিকাবিহীন কঠোর ভাষায় কথাটা”তাই বড় জোরালো হয় । শশী আহত হইয়া বলে, বাপের প্রতি ওটাই ছেলের প্রথম কর্তব্য বই-কি । ছেলের মনের ওটা স্বাভাবিক ধর্ম বাবা, যুক্তিতর্কে বোঝানোর জিনিস নয় । বাপের স্বভাব মন্দ হলে ছেলে হয়তো বড় হয়ে তাকে সমালোচনা করে। কিন্তু যেমন বাপাই হোক ছেলের মনের অন্ধ ভক্তিটা কিছুতেই যাবার নয় । কম নয় শশী, গুরুকে সে গুরুর মতো বোঝায় । সাত-আট বছর আগে ভোলা ব্ৰহ্মচারীর কাছে গোপাল তাহার দীক্ষা দিয়াছিল, ওঁ স্থানে নমো বলিয়া গুরুর মস্ত্ৰ কিছুদিন শশী জপও কারিয়াছে, তারপর কত পরিবর্তনই হইয়াছে စt☎iဍ I f ংক্ষেপে পরিচ্ছন্নভাবে তার পর অনেক জ্ঞানগর্ত কথাই ব্ৰহ্মচারী বলেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে শুনিয়া শশী ও জ্ঞানগর্ভ জবাব দেয় । মনে মনে সে টের পায় যে গুরুর চেয়ে জ্ঞানটা তার অনুেক বেশি বাড়িয়া গিয়াছে, কিন্তু এটা সে প্ৰকাশ পাইতে দেয় না । ,, শশীকে ব্ৰহ্মচারীর বড় ভাল লাগে । ছেলের সম্বন্ধে যে সব অভিযোেগ গোপাল করিয়াছিল সমস্ত ভুলিয়া গিয়া অনেক কালের সঞ্চিত OQR :