পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F শশী আগাইয়া যায়, বলে, আমার কাজ আছে বৌ, কাল এসে তোমার মিছে কথা শুনিব ৷ 鬼 t মিছে কথা নয়, সত্যি মিছে নয় ছোটবাবু। শশী চলিয়া গেলে অন্ধকারে বেগুনখেতে দাড়াইয়া কুসুম একটু হাসিল । সামনে গাছের মাথার কাছে একটু আলো হইয়াছে। কুহুম জানে ওখানে ‘চাঁদ উঠবে। চাদ উঠিলে, চাদ উঠিবার আভাস দেখিলে কুহুম যেন শুনিতে পায় = ভিনদেশী পুরুষ দেখি চাদের মতন লাজরক্ত হইলা কন্যা পরখম যৌবন। কে সে কিশোরী, ভিনদেশী পুরুষ দেখিয়া যার লজ্জাতুর প্ৰেম জাগিত ? সে কুষম নয়, হে ভগবান, সে কুসুম নয় । 曝 অন্ধকারে ঠাহর করিয়া দেখিয়া বাহুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শশী না ? ও বাবা শশী তোমায় খুঁজে বেড়াচ্ছি যে ! ভুতো যেন কেমন করছে। শশী । ওর মা কঁাদা-কটা লাগিয়েছেন । তুমি এসে একটিবার দেখে যাও ! শশী বলে, চলুন । চলিতে আরম্ভ করিয়া বলে, বাবা বলছিলেন, কতবার তো বাড়ুজে-বাড়ি গেলি শশী, পয়সা-কড়ি - দিয়েছে কিছু ? দুটো একটা কসের টাকা না দিলে তো বিপদে পড়ি কাক ? কত মিথ্যে বলব! বাৰাৱ BDBBD S S S KBBSDDDBD DLBD SYLDD LBD DBBDDS একটি পয়সা এদিকেঁ ওদিকে হবার জো নেই । 3. বাসুদেব লজ পাইয়া বলেন, শশীর টাকা কালই পৌছিয়া দিয়া আসিবেন। শশীর বাড়িতে, নিজে যাইবেন । শশী ভাবে, আজ নয় কেন ? মুখে সে কিছু বলে না । বাহুদেবের বাড়ী কম দূর নয়। শ্ৰীনাথের দোকান ছাড়াইয়া, রজনী সরকারের পাকা দালানের পাশ দিয়া বামুনপাড়া পৰ্যন্ত গচড়ানো সাপের মতো আঁক-বাক পথের মাঝখান হইতে দক্ষিণ দিকে ঝোপকাড়ের ভিতর দিয়া পায়ে-চলা যে সঙ্কীর্ণ রাস্তাটুকু পোয়াটেক গিয়া মাঠের মধ্যে হারাইয়া গিয়াছে, তার শেষাশেষি । কদিন বৃষ্টি হয় নাই, এ বছরের মতো বর্ষা বোধ হয় শেষ হইয়াছে, পথের কাদা। কিন্তু শুকায় নাই। - জুতা হাতে করিয়া বাহুদেবের বাড়ি পৌছিয়া শশী পা ধুইল ৷ বাহুদেবেয়া ক্ষেত্রিট R o