পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলে ভুতোর বয়স বছর দশেক, সাত-আট দিন আগে গাছের মগভাল হইতে *ड़ेि ब्रi গিয়া হাত-পা ধুই-ই ভাঙিয়াছিল । তার পর জিরো-বিকারে অজ্ঞান হুইয়া बौवनं-भूङ्ाश्च সন্ধিস্থলে আসিয়া পড়িয়াছে । শশী তাহাকে সদর হাসপাতালে পাঠাইতে বলিয়াছিল, এর রাজী হয় নাই। হাসপাতালের নামে ভুতোর মা ডুকরাইয়া কঁাদিয়া উঠিয়াছিল, ছেলেকে চৌকাটের বাহিরে নিলে সে বিষ খাইয়া মরিবে। তারপর শশীই প্ৰাণপণে ভুতোর চিকিৎসা করিতেছে, দিনে দুই বার তিন বার আসে । ভুতোর শিয়রে তার মা লক্ষ্মীমণি মৃদুস্বরে কঁাদিতেছিলেন। বড় দুটি ছেলে, দুটি বিবাহিতা মেয়ে, তিনটি বৌ ঘরের মধ্যে ভিড় করিয়া দাড়াইয়া ছিল। বড় বৌটি বিধবা, ঘোমটা দিয়া ভুতেকে সে বাতাস করিতেছিল। মায়ের পরে এ বাড়িতে দুরন্ত ছেলেটাকে সেই-ই হয়তো ভালবাসে সকলের চেয়ে বেশি,-দু-চোখ দিয়া তাহার দরদের করিয়া জল পড়িতেছে ৷ ভুতোর অবস্থা দেখিয়া শশীর মুখ মান হইয়া গেল। ছেলেটা বঁচিবে না। এ সন্দেহ হেতাহার ছিল ; তবু দুপুর বেলা ওকে দেখিয়া গিয়া একটু আশা তুহার হইয়াছিল বৈকি। । " এক বেলায় অবস্থাটা যে এ রকম দাড়াইবে সে তাহা ভাবিতেও পারে নাই। ছেলেটার সর্বাঙ্গে সে জড়াইয়া জড়াইয়া ব্যাণ্ডেজ বাধিয়াছিল। নড়িবার উপায় তাহার নাই, এখন থাকিয়া থাকিয়া মুখ শুধু বিকৃত করিতেছে। শশীর গলা এমনি মৃদু, এখন আরও মৃত্যু শোমুইল । -একটু আগুন চাই সেঁক দেবার-গরম কাপড়। যদি একটুকরো থাকে ? • বিধবা বৌটি মালসায় আগুন আনিল । একটা আলোয়ান ভঁাজ করিয়া শশীর নির্দেশমতো ভুতোর বুকে সেঁক দিতে লাগিল। শী তাহাকে একটা ইনজেকশন দিয়া একটু অপেক্ষা করিল। বার বার চোখের ভিতরটা লক্ষ্য করিয়া দেখিল, নাড়ী টিপিল, তারপর নীরবে উঠিয়া আসিল । সকলে এতক্ষণ শ্বাসরোধ করিয়া ছিল, শশীর উঠিয়া আসার ইঙ্গিতে ঘরে তাহদের সমবেত <qst31 eqcşpʻztCg vestfè3 9tfğ5a বিধবা বৌটি পাগলের মতো ছুটিয়া আসিয়া শশীর পথ রোধ করিয়া বলিল, না, তুমি যেতে পাবে না। শশী, আমার, ভুতেকে বঁচিয়ে যাও ! যাও আমার ভুতোকে বাঁচিয়ে ? ও যে আমার জন্যে জাম আনতে গাছে উঠেছিল শশী । শশী কিবলিবে ? সে গম্ভীর হইয়া থাকে । তারপর পথ পাইলে বাহির হুইয়া যায়। জুতা হাতে করিয়া সে নামিয়া যায় পথে । পায়ে-চলা পথটির Games GJ et av VVS 9 RA