পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খানিকটা অংশ ভাঙিয়া,পড়িয়াছে। এক কালে চারিদিকে বোধ হয় প্রাচীন্ম ছিল ৷ এখন ছড়ানো পড়িয়া আছে শু্যাওলা-ধৱা কালে ইট । যাদব বাস । না করিলে বাড়িটা অনেক দিন আগেই ভূতের বাড়ি বলিয়া খ্যাতি লাভ কবিতা ৷ দ্বী ছাড়া সংসারে যাজবের কেহ নাই। পাগলাটে স্বভাবের জঙ্গ গ্রামের ছেলে-বুড়ে যাদবের স্ত্রীকে পাগলদিদি বলিয়া ডাকে। কয়েক ? দিন আগে যাদব কলিকাতায় গিয়াছিলেন । আজ তাহার ফিরিবার কথা নয় । সকলে শশব্যান্তে প্ৰণাম করিয়া বসিতে দিল ৷৷ পঞ্চানন - জিজ্ঞাসা করিল, হঠাৎ ফিরে এলেন পণ্ডিত মশায় ? যাদব বলিলেন, গেয়ে মানুষ, শহরে মন টিকল না। বাবা । শ্ৰীনাথ উচ্ছাসিত ভাবে বলিল, আপনারও মন টেকাটেকি দেবতা এ কথায় যাদব হাসিলেন। উচ্ছসিত ভক্তিকে গ্ৰহণ করিবার পদ্ধতি তাহার এই । একে একে সকলের তিনি কুশল প্রশ্ন করিলেন । 'ভুতোর মৃত্যু সংবাদে জুঃখিত হইয়া বলিলেন, আহা ! কিন্তু বিশেষ বিচলিত হইলেন না । জীবন-মরণ যাহার নিকট সমান, দুরন্ত একটা বালকের মৃত্যুতে বিচলিত হওয়ার কথাও তার নয়। তবু শশীর মনে হইল, সাধারণ ভাবে আরও একটু ব্যথিত E'SH যাদবের যেন DDT SDDDS S S BDBD D BLBBDL KS qLOBDBS পরিবারে এখন যে বুকভাঙা হাহাকার উঠিয়াছে, যাদবের কি সে কল্পনা নাই! মিনিট দশেক বসিয়া যান্ধব উঠিলেন। বলিলেন, যাবে না কি শশী বাড়িঙ্কদিকে ? শশী বলিল, চলুন। লাঠি ঠুকিয়া যাদব পথ চলেন। শশী জানে এত জোরে লাঠির শব্দ করা লাপের জন্য ! মরিতে যাদব কি ভয় পান,-জীবন-মৃত্যু যার কাছে সমান হইয়া গিয়াছে ? অথবা শুধু সাপের কামড়ে মরিতে তাঁর ভয় ! চলিতে চলিতে যাদব বলিলেন, তুমি তো ডাক্তার মানুষ শশী, চরক স্বল্পত ছেড়ে বিলাতী বিস্তে ধরেছে, কেটে ছিড়ে গা ফুড়ে মারা মাহুষ বঁচাও-ব্যাপারটা কি বল দেখি তোমাদেৱ ?? সত্যি সত্যি কিছু আছে, না। বিহু, তোমাদের চিকিৎসাশাস্ত্ৰে ? 'ፕ শশী বলিল, আজো আছে বৈকি পণ্ডিত মশায়,-কারো এ একার খেয়ালে ভো ভাক্তারিশান্ত্র হয়নি। হাজার হাজার বৈজ্ঞানিক সারা জীবন পৰীক্ষা করে করে সব আবিষ্কার করেছেন ; নইলে জগৎসুদ্ধ লোক যাদব বলিলেন, সূৰ্যবিজ্ঞান-না-জানা সব-বৈজ্ঞানিক তো ? আদি জ্ঞান R 3 ميان