পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোক থাকতে ছোটবাবুকে মুরুবি ঠাওরালে পরান ? ঘরের কথায় পারকে ভাকলে ? ধ্ৰু 弘 আর একজন বলিয়াছে, ছোটবাবু, হরদম আসেন যান, না বটে ; এ কথাটা পছন্দ করে নাই পরান ! দুই পক্ষের অপছন্দ শেবা পৰ্যন্ত কিসে।। গিয়া ঠেকিত বলা যায় না। কিন্তু হারুর আকস্মিক মৃত্যুর পর পরান” বড় দমিয়া গিয়াছিল। কলহ না করিয়া বাড়িতে অসুখের ছুতা দিয়া সে উঠিয়া effSBCS Y. মতির জব কিন্তু কমিয়া গিয়াছে। বর্ষার গোড়ার দিকে তাহাকে ম্যালেরিয়ায় ধরিয়াছিল, কয়েক দিন ভাল থাকিয়াছে, আবার কঁাপিতে কঁাপিতে পড়িয়াছে জ্বরে । শশীর দামী কুইনাইন জরটা একেবারে ঠেকাইতে পারে নাই। এবার গা ফুড়িয়া কয়েকবার তাহাকে, ওষুধ দিয়া শশী আশ্বাস দিয়াছে, আর জর হইবে না । জ্বরে ভুগিয়া মতির বিশেষ ক্ষতি হইয়াছে মনে হয় না । ম্যালেরিয়া ধরিবার আগে হঠাৎ সে মোটা হইতে আরম্ভ করিয়াছিল । মাঝে মাঝে জরে পড়িয়া এটা বন্ধ হইয়া গিয়াছে। গুঞ্জ মতির সুন্দর গড়নটি চর্বিতে ঢাকিয়া গেলে বড় আপসোসের কথা হইত। এখনো প্ৰতি সপ্তাহে মাতিকে শশী একটা করিয়া ইনজেকশন দেয় । সকালে বাড়িতে যে কঁজন রোগী আসে তাদের ব্যবস্থা করিয়া, কালো ব্যাগটি হাতে করিয়া সে যখন হারু ঘোষের বাড়ি যায়, হয়তো তখন বেলা হইয়াছে, সমস্ত উঠান ভুরিয়া গিয়াছে রোদে । মতির ভীত শুকনা মুখ দেখিয়া শশী হাসিয়া বলে, এত বার দিলাম এখনো তোর ভয় গেল না মতি ? কোন হাতে নিৰি আজ , স্পিরিট দিয়া ঘসিলে মতির বাহুতে ময়লা ওঠে। শশী বলে, বড় নেহৱা তুই মতি-গায়ে সাবান দিতে পারিস না ? · · 7 ܟ ইনজেকশন দিয়া শশী দাওয়ায় বসে । পরান বলে, একটা পরামর্শ আছে ছোটৰাৰু। বিষয়টা মতির বিবাহ-সংক্রান্ত শুনিয়া শশী জাকিয়া বসিয়া একটা বিড়ি ধয়ায় । ছেলের ইশারায় মোক্ষদা সরিয়া আসে কাছে । বুচিও আসিয়া ছেলে কোলে কাছে দাড়ায় । কুজমকে দেখিতে না পাইয়া শশী মনে মনে আশ্চর্য হয় । পুবের ভিটার ঘরখানার ছায়া ঘরের মধ্যেই সকুচিত হইয়া গিয়াছে।’ পর্যানের কথা শুনিতে তিনিটত প্ৰতি মুহুর্তে শশী আশা করে-পুবের ওই ঘরের ভিতর হইতে ęwsi দুচোখে গাঢ় স্তিমিত ছায়া সঞ্চয় করিয়া কুসুম হঠাৎ বাহির হইয়া আসিবে, দু-পরমাত্মীয়দের এই সভার এক প্ৰান্তে দাড়াইয়া থাকিবে পরের মতো । , R r