পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিভারটা দেখাইয়া , দিল, তাহার বোধ হয়। ধারণা ছিল মানুষের হৃদয়ের অবস্থানটা ওইখানে-ছোটবাবুকে বললাম, সাপে কামড়েছে ছোটবাবু। শুনে ছোটবাবুর মুখ যা হয়ে গেল! কি হয়ে গেল ? কুমুদ কৌতুহল বোধ করিতেছিল। শুকিয়ে গেল ? ছাইবৰ্ণ হয়ে গেল । সাপের কামড়ে তেলমার কিছু হল না ! কুমুদ তুমি বলায় কুসুম রাগ করিয়া বলিল, কথা বলতে শেখোনি দেখছি তুমি । ভদ্রলোক তো ? তারপর দুজনেই দমিয়া যাওয়ায় আর কথা হইল না । তালগাছগুলি নিঃশব্দে দাড়াইয়া রহিল। একটা মাছরাঙা ঝুপ করিয়া তালপুকুরে আছড়াইয়া द्धिव्य । দুপুরবেলাটা বন্ধুর সঙ্গে গল্প করিয়া কাটাইয়া বেলা পড়িয়া আসিলে কুমুদ वञ्च 。छ्= कदिव् । সকাল সকাল পালা শুরু হবে । যাবি তো শশী ? * যাব বৈকি ! নিশ্চয় যাব । হারুর বাড়ির পিছনে সাতগা পৰ্যন্ত বিস্তারিত ধানের ক্ষেত। তালপুকুরের ধার হইয়া ক্ষেতের আলি দিয়া কুমুদ সাতগার কাছারি-বাড়ি পৌছিল। ভালপুকুম্ভর সে মতিকে দেখিবার আশা করিতেছিল। কিন্তু যাত্রা শুনিতে যাওয়ার আয়োজনে ব্যস্ত মতির পুকুরে আসার সময় ছিল না । কুষম রাধিতেছিল। সন্ধ্যার আগেই খাওয়ার পাট চুকিয়া যাওয়া চাই ! মতি বিনা বাক্যব্যয়ে তাহার সমস্ত হুকুম পালন করিয়া যাইতে ছিল । পরান সব বিষয়ে উদাসীন। সন্ধ্যার আবির্ভাবে তাহার বোন আর বৌ যত ব্যস্ত হইয়া ওঠে, সে যেন ততই বিমাইয়া যায় । রান্নাঘরে বসিয়া কুসুমের সঙ্গে সে প্রথম একটু গল্প জমাইবার চেষ্টা করিয়াছিল। গল্প করিবার সময় না। থাকায় কুসুম তাহাকে আমল দেয় নাই ; দাওয়ায় বসে হুক টান গে না বাপু ? মেয়ে মানুষের আঁচল-ধরা পুরুষকে আমি দু, চোখে দেখতে পারি না - কুসুমের ভৎসনায় চিরকাল পরানের খারাপ লাগে। তবে স্পষ্ট খারাপ লাগার ভাবটী এত অল্প সময়ের মধ্যে মনের একটা উদাস বৈরাগ্য ও” দেহের একটা বিমানো অ্যালন্তে পরিণত হইয়া যায় যে, রাগিব।ার অবসর প্রায়ই লে। পায় না।</মাঝে মাঝে কুমমকে তাহার Vestfā cētaMarier ac Ig i ství