পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাদের এই আশঙ্কা ততই প্ৰবল হইয়া উঠে যে, ওদিকে বুঝি যাত্রা শুরু হুইয়া, গেল। মতিকে কাপড় পরিতে হুকুম দিয়া কুসুম ইেসেল তুলিয়া ফেলে । পুকুরে যাওয়ার সময় এখন নাই। উঠোনের এক কোণে ছাইফেলা আমগাছটির অণ্ডলে বসিয়া বাসন ক’খানা কুসুম তাড়াতাড়ি মাজিয়া নেয়। এই সুবিধাটুকুর ব্যবস্থা সে সেই বিকালেই করিয়া রাখিয়াছে। হু কঁাখে দুটি কলসী বহিয়া কত জল তুলিয়া-কুহুম যে আজ হাড়ি-গামলা সব ভরতি করিয়াছে। . মতি বলে, আমিও হাত লগাই বেী, শীগগির হুয়ে যাবে, আঁ্যা ? না । মতি তাড়াতাড়ি কাজ করিতে পারে এ বিশ্বাস কুসুমের নাই । এক মিনিটের কাজে মতি দশ মিনিট লাগাইয়া দেবে। যা বললাম। তাই কর তো তুই । কাপড় পরতেই তো তোমার দশ ঘণ্টা । এক সময় গোধুলি শেষ হওয়ার আগেই, কি করিয়া কাজ শেষ হয়। বাকি থাকে। শুধু এটা আর ওটা, যা করিলেও চলে, না করিলেও চলে। কুম্বামের তাড়ায় পরান ও মতি দুজনেই কাজ সমাপ্ত করিয়াছে। নিজে সাজিতে গিয়া ওদের দুজনকে দেখিয়া কুসুম এতক্ষণে একটু হাসিল । •ांटेंब উপর উড়ানি চাপানোয় পরানকে একেবারে বাৰু বাবু দেখাইতেছে। আর ডুরে শাড়ি পরিয়া মতি হইয়াছে সুন্দরী । মতির হালকা অপরিণত কেেহটাকে কুঠুমি হিংসা করে । মনে হয় তাহার নিজের স্বাস্থ্য এতখানি ভাল না। হইলেই যেন সে খুশী হইত। ডুরে শাড়ি তারও আছে বৈকি। তবে আজকাল রঙীন লাইন দিয়া শরীর ঢাকিতে কুসুমের লাজ করে । আসরে যখন তাহারা পৌছিল, যাত্রা আরম্ভ হইতে বিলম্ব আছে। ঙ্গিকের আড়ালে জায়গার জন্য কলহ শুরু হইয়া গিয়াছে ইতিমধ্যেই। ব্লকলেই চিক বেসিয়া বসিতে চায়, এগার বছরের সদ্য-পৰ্দা-পাওয়া মেয়ে হইতে তাহাঁর পঞ্চাশ বছরের দিদিমা পৰ্যন্ত । এসব বিষয়ে কুসুম ভারি ওস্তাদ । সকলকে ঠেলিয়া-কুঁলিয়া সেই যে সে চিকের কাছে প্ৰথম সারিতে একটা দশ ইঞ্চি ফাকের মধ্যে নিজেকে গুজিয়া দিল কেহ আর তাহাকে সেখান গঙ্গাওঁ= নড়াইতে পারিল না । মতি তাহার পিঠের সঙ্গে মিশিয়া সংস্কৃত সাহিত্যের হচের পিছনে স্থতা চলার উপমার মতুে আগাইয়া আসিয়াছিল। কুসুমের পিঠি ঘোবিয়া সে একরকম চরণ দত্তের গৃহিনীর কোলের উপরেই বসিয়া পড়লী চরণ দত্তের গৃহিণী তাহাকে ঠেল্লিতে আরম্ভ করায় কুসুমের cotiagbi do uviè31 sfija 2totocq ༧་ ་་་་་་ কুহুম মুখ ফিরাইয়া চোখ রাঙাইয়া চরণ দত্তের গৃহিণীকে বলিল, মো flap