পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটিতে ওকে মুড়ি দিলি যে কুন্দ ? বাটি নেই। বাটিতে দিলে এক খাবিলায় সব খেয়ে ফেলবে যে ! তখন ফের চোঁচাতে আরম্ভ করবে। ছড়িয়ে দিলাম, খুটে খুটে অনেকক্ষণ খাবে। কুন্দ সগর্বে ছেলেকে নিরীক্ষণ করে । নধর শিশু ! শশীর চোখে লাগিয়াছে। একটু কোলে নিক না ? শশী তাহাকে বোঝায়, বলে, মুড়ির সঙ্গে ছেলে তোর জার্ম খাচ্ছে জানিস ? পেটে কৃমি হবে, আমাশা হবে, কলেরা হবে কি সব অমঙ্গুলো কথা ! কুন্দ বলে, বালাই ষাট ! ভাবে, ওসব কিছু যদি হয় তো তোমার মুখের দোষে হয়েছে জানিব । ডাক্তার হয়েছ বলেই তুমি যা-তা বলবে নাকি ? বাছার তুমি গুরুজন, ওর কপালে কথা তোমার ফলেও 6যতে পারে, এ খেয়াল তোমার নেই ! কুন্দর ছেলে হামা দিয়া মাটি হইতে খুটিয়া খুটিয়া মুড়ি খাইতে থাকে। দুবেলা। শশীর কথা কুন্দ বিশ্বাস করে না। দু আঙুলে একটি একটি মুড়ি মুখে দিবার সময় ছেলেকে তাহার কী সুন্দর দেখায় ! শশী রাগ কেরিয়া ধমক দিলে কুন্দ বলে, চুপ করুন শশীদা । ছেলে আপনার নয়। মামা চোখ বুজলে আপনি বাড়ি থেকে খেদিয়ে দেবেন। vs wifa . -- বাড়ি হুইতে তাড়াইয়া দিবার কথাটা কোথা হইতে আসে। শশী বুঝিতে পারে না । তবে অবাস্তর শোনায় না । কারণ, শশীর মতে বাড়ি হইতে খেদাইয়া দেওয়ার উপযুক্ত কুন্দ ছাড়া আর কে আছে ? শশী বলে, পিসী কথা শোন, ছেলেকে তোমার আত দুধ খাইও না । ওর সিকি দুধ হজম করবার ক্ষমতাও যে ওর নেই । یہ ،” পিসী ভাবে হায়রে কপাল ! বাড়িতে এত দুধের ছড়াছড়ি, আমার ছেলে একটু দুধ খায় এ কারো সয় না । কতটুকু দুধই বা ও খায় ! কি জানি কবে ছেলের দুধের বরাদ্দ কমিয়া যায়। এই ভয়ে পিসী ছেলেকে আরও একটু বেশি দুধ খাওয়াইতে আরম্ভ করে। দুপুরবেলা শশী ঘরে ঘরে বলিয়া যায় ; ওঠ, উঠে পড় সবাই, ঘুমোতে হবে না ! শীতকালের দুপুরে ঘুম কিসের ? সকলে একদিন দুইদিন সহ কষ্টর, হাসিমুখে উঠিয়া বসিয়া হাই তুলিয়া বলাবলি, কন্সে ; শশীর হয়েছে কি ? এবার বাপু ওর-এক্সটা বিয়ে দেওয়া দরকার। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তাহার-ঞিএহি করে। যাদের বয়স কম ও স্বামী আছে। কেউ করে -৬খ, আমাদের মতো রাত জাগতে হলে দুপুরে AO