পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেক কিছুই যেন তাহার অপচয়িত হইয়া যাইবে । শুধু তাহার নয় সকলের । জীবনের এই ক্ষতি প্ৰতিকারহীন । মৃত্যুর সান্নিধ্য এইভাবে এই দিক দিয়া শশীকে ব্যথিত করে ॥৮ কিছুদূর সোজা গিয়া গাওদিয়ার প্রান্তভাগ ছুইয়া খাল পুবে দিক পরিবর্তন করিয়াছে। বঁাকের মুখে গ্রামের ঘাট । গাওদিয়া ছোট গ্রাম । ব্যবসা বাণিজ্যের ধার বিশেষ ধারে না । ঘাটাও আর কিছুই নয়, কোদাল দিয়া কয়েকটি ধাপ কাটিয়া দেওয়া হইয়াছে মাত্ৰ ! ঘাটের উপরে একটা টিনের চালা আছে । পাটের সময় সেখানে পাট জমাইয়া বাজিতপুরে শশীর ভগ্নীপতি নন্দলালের গুদামে চালান দেওয়া হয় । তিন চার ক্ষেপ চালান গেলেই গাওদিয়ার পাট চালানের পাঠ ওঠে । তারপর সারা বছর চালাটা পড়িয়া থাকে খালি । গোরু, ছাগল, মানুষ-ব্যাহার খুশি ব্ৰ্যবহার করে, কেহ বারণ করিতে আসে না । চালার সামনেই চণ্ডীর মারি ছেলে চণ্ডী সারাদিন একটা কাঠের বাক্সের উপর কয়েক প্যাকেট লাল-নীল কাগজ মোড়া বিড়ি ও বোকাবিভক্ত ভিজা ন্যাকড়ায় ঢাকা কয়েক খিলি পান সাজাইয়া বসিয়া থাকে। ঘাটে কয়েকটি ছোট বড় নৌকা বাধা ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে একটিতেও SqggD DS DYDB S BDDKSDD BDB DBBDS >^Kগোবর্ধনের মনে ভয় ছিল, তাহাকে নৌকায় পাহার রাখিয়া শশী হয়তো নিজেই গ্রামে যাইতে চাইবে । ঘাটে নৌকা বঁাধিয়াই সে তাই বলিল, “আমি তা হলে গায়ে খপর দিগে ছোটবাবু ? শশী বলিল, যা । পা চালিয়ে যাস গোবর্ধন । আগে যাবি গোয়ালা পাড়ায় । নিতাই, সুদেব, বংশী-ওরা সবাই যেন ಜ್ಞದೆ 5cन डicज । बनन আমি অন্ধকারে মড়া আগলে বসে রইলাম। আলোটা তুই নিয়ে যা, প্ৰযেতে যেতে ঘুরাঘুটি অন্ধকার হবে । পিছল রাস্তা । আলো লইয়া গোবধান চলিয়া গেল । এতক্ষণে সন্ধ্য হইয়াছে । অ কাশ খুজিলে হয়তো এখনো একটু ধুসর আভা চোখে পড়ে। কিন্তু অন্ধকার দ্রুত গাঢ় হইয়া আসিতেছে। শশী ভাবিল, আর পনের-বিশ মিনিট দেৱী করিয়া বটগাছটার কাছে পৌছিলে হারুকে সে ঠাহর করিতে পারিত না। খাল-দিয়া যাতায়াত করিবার সময় ভূত ও সাপের রাজ্যটির দিকে সে বরাবর চোখ তুলিয়া তাকায়। আজও তাকাইত । কিন্তু হারুকে তাহার মনে হইভ গাছের গুড়িরই একটা অংশ । হয়তো মানুষের আকৃতির সঙ্গে গাছের অংশটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করিয়া আর হারুর পরনের কাপড়ের শ্বেতাভ রহস্যটুকুর R