পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্ৰশোকাণ্ডুর দুঃখিনী-মাতা। ৩ স্বযং স্বমরাজ ; বৃদ্ধরূপ ধারণ করিয়া ভাহাৰ্কে ছলনা করিতে আসিয়াছিলেন। ঐ দুঃখিনীর এইরূপ জিজ্ঞাময় ঙিনি কুৎসিতরূপে এমনি করিয়া মন্তক নাড়িতে লাগিলেন, যে তাহাতে ই বা ন দুই অর্থই বুঝাইতে পারে । *िषद्र छनमै अथाबमध्न थकश्के छूमिश्रू:४ घ्रारिप्ले রছিলেন ; তাছার দুই গণ্ডদেশ ৰহিয়া চক্ষু হইতে অপ্রাস্ত জগুন্ধারা পতিত হইতে লাগিল । তিনদিন তিনৱাত্রি মাতার কিছুমাত্র নিদ্রা হয় নাই, কেবল একান্তচিত্তে সন্তানের প্রতি নিরীক্ষণ করিয়াছিলেন । সম্প্রতি অধোবদন হইয়া থাকাতে র্তাহীর মস্তকটি ঘুমের ঘোরে ভারি হইয়া ক্রমে ক্রমে নত হইয়। ভূতলে লগ্ন হইল। তৎকালে তিনি ক্ষণকালের নিমিত্ত নিদ্রাগত হইলেন । একে প্রাণের উৎকণ্ঠ, তাহাতে আবার দারুণ শীত, ইহাতেও কি প্রকৃত নিদ্রা হইতে পারে? অবিলম্বেই কম্পদ্বিতকলেবর হইয়া পুনৰ্ব্বার তিনি গাত্রোপ্তান পূর্বক চতুর্দিক অবলোকন করিয়া দেখেন, যে বুদ্ধ মনুষ্য সেখানে নাই, এবং পুত্ৰও নাই । ইহাতে অত্যন্ত চমৎক্লত হইয়। তিনি বিলাপ করিতে লাগিলেন, হে বিধাতঃ ভূমি কি করিলে ? এ কি ? আহা, আমার হৃদয়ের ধন সন্তানটিকে বুঝি সেই ৰুদ্ধ মনুষ্য লইয়া গিয়া থাকিবেক ! দুঃখিনী মাত এইরূপ রোঁদন করিতেন্ডেন, এমত সময়ে ঘরের কোণে যে পুরাতন ঘড়িটি ছিল, তন্মপ্যস্ত তারসৎলগ্ন দুইটা শিশার গোলা হড় হড় শব্দে ভূতলে পতিত হইল, ঘড়িটা একবারে নিস্তব্ধ হইয়াগেল । পুৰ্ব্ববৎ আর খটু খট্‌ শব্দ করিল না । দুঃখিনী জননী পুত্রবিরহে সাতিশয় শোককুল হইয়।