পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> & পুত্ৰশোকাতুর দুঃখিনী মার্তা। মাতা জিজ্ঞাসা করিলেন, ঐ চুটি বৃক্ষের মধ্যে কোনটি মুখী এবং কোনটিইব দুঃখ আমাকে তাহ স্পষ্ট করিয়া বলিতে আজ্ঞ হউক। * যমরাজা বলিলেন তাহ স্পষ্টরূপে বলিৰায় আদেশ নাই। কেবল এই কথাটি আমার মুখে তুমি শুনিতে পাইবে, যদি ইহাতে বুঝিতে পারতে বুঝ, ঐ দুই পুষ্পবৃক্ষের মধ্যে একটি তব পুত্রের জীবন রূপে পরিগণিত হইযাছে, ভবিষ্যতে তোমার, পুত্র যে দুরবস্থা প্রাপ্ত হইবে, তাহাই তুমি কূপ মধ্যে দেখিতে পাইলে । তখন মাত উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া ক্ৰন্দন করিতে করিতে কহিলেন যমরাজ ! অনুগ্রহ করিয়া বলুন ঐ উভযের মধ্যে আমার পুত্রের অবস্থা কোনটা, আহা! এছুঃখিনীর নির্দোষী শিশুকে আপনি এ দুরদৃষ্ট হইতে মুক্ত করুন, আমার পুত্রে পাপের লেশমাত্র নাই, ইহাকে এত দুঃখে রাখা আপনকার উচিত নয়, ভবিষ্যৎ দারুণ কষ্ট ভোগ হইতে আপনি উহাকে পরিত্রণ করুন। এক্ষণে অামি প্রতিজ্ঞ করিয়া বলিতেছি, আমার উহাতে আর কাজ নাই, বরং আপনি উহাকে গ্রহণ করিয়া ঈশ্বরের রাজ্যে লইয়। যাউন । তবে, আমি উহার নিমিত্ত আপনকার নিকট যে এত সাধ্য সাধনা করিয়াড়ি, চক্ষু হইতে অনবরত অশ্রু ধারা পতিত হইয়াছে, কত প্রকার দুঃখ ভোগ করিয়াছি, তাহার নিমিত্ত আপনি কিছু মনে করবেন না, সকলই বিস্মত হইয়া যাউন। যম বলিলেন আমি তোমার কথা ভাল বুঝিতে পারিলাম না, তুমি এক্ষণে তোমার পুত্রটিকে লইয়াযাইবে, কি আমি উহাকে সেই অজ্ঞাত অপরিচিত ঈশ্বরর"জ্যে