পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হু হ নায়কশোকাতুর ছুঃখিনী নায়িকা । এমত সময়ে আর এক জন মানুষ, রক্তবর্ণ চক্ষু, বিরস বদন এবং ক্রোধ পরায়ণ হইয়া তথায় উপস্থিত হইল। ঐ-ব্যক্তি সেই সুন্দরী বালিকার দুষ্ট জাত । মুন্দরীর প্রিয়পাত্র যুব পুরুষ ঐ গোলাপ পুষ্পটি বারম্বার চুম্বন করিতেছে, সে তাহ দেখিয়া একবারে ক্রোধে অন্ধ হইয়া উঠিল । এবং আপনার তীক্ষু ছুরিক বাহির করিয়া একাঘাতেই তাহার উদর বিদীর্ণ কুরিয়া ফেলিল; তাহাক্তে তৎক্ষণাৎ তাহার প্রাণ বিনাশ হুইল "কর্কশ পুরুষ যখন দেখিল যে সে মরিয়া গিয়াছে, আর জীবিত নাই, তখন তাহার মস্তক ছেদন করিয়া নেবু গাছের তলমধ্যে মৃত্তিকার নীচে তাহার দেহ ঐ ছিন্ন মুণ্ড সমেত নিখাত করিয়া রাখিল । দুষ্ট ভ্রাতা এইরূপ ঘোর নিষ্ঠুরের কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিয়া মনে ২ বিবেচনা করিতে লাগিল, “এবারে একেবারে ত|হার শেষ হইয়াছে, সে আর কখন ফিরিয়া আসিতে পারিবেন, বোধ হয় ভগ্নীও তাহাকে ক্রমে ক্রমে ভুলিয়া য ইবেক । ভগিনী অবগত আছে আমি তাঁহাকে পত্রবাহক করিয়া বহু দুরবস্ত্রী দেশান্তরে সমুদ্র পারে পঠাইয়া দিয়াছি । এমত বিষয়ে অনেক লোকেই প্রায় প্রাণ হfরাইয়া থাকে । ভগ্নী সাহস করিয়া কোন কথা অামাকে জিজ্ঞাসা করিতে পারিবেক না, মনে হু করিবেক দূরদেশে গিয়াছিল বলিয়। যাইতে ই পথিমধ্যে মরিয়া গিয়৷ থাকিবে, সেতো আর কখনই ফিরিয়া আসিবে না । এই প্রকার বিবেচনা করিয়া, ভগিনী অবশ্যই তাহার আশ। একবারে পরিত্যাগ করিবেক সন্দেহ নাই’ । অনন্তর পাদিয়া কতক গুলিন শুষ্ক পত্র একত্র করিয়া