পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নায়কশোকাতুর দুঃখিনী মায়িকা। ২৭ বর্ণের কলিকা বাহির হইল। বালিকা ফুলগাছটিকে অতিশয় ভাল বাসিত, একারণ সে কলিক গুলিকে চুম্বন করিয়া আপনার শোক সান্তন করিতে লাগিল । । তাহার দুষ্ট ভ্রাতা তাহাকে তিরস্কার করিয়া সৰ্ব্বদা জিজ্ঞাসা করিভ-তুমি এত কদ কেন ? তুমি কি অনবরত রোদন করিয়াশীর পাত করিবে ? তোমার বুদ্ধি কি লোপ পাইয়াছে। কিন্তু সে নিৰ্ব্বোধতো জনিতন সেই জুই গাছের মুলস্থিত মৃত্তিকার ভিতরে কোন ব্যক্তির নয়ন দ্বন্ত্র মুদিত এবং ওষ্ঠ দ্বয় বিবর্ণ হইয়া রহিয়াছে। এক দিন ক্ষুদ্র পরি দেখিল বালিক রোদন করিতে করিতে সাতিশয় ক্লান্ত হইয়া আপনার মস্তকটি ব্লক্ষপাত্রের উপর হেলান দিয়া নিদ্রিত প্রায় হইয়। বহিয়াছে । ইত্যব সরে মে তাহার কণে প্রবেশ করিল, এবং সন্ধffর সময়ে, নিকুঞ্জ বনে বালিক। আপন প্রাণনাথের সহিত বসিয়া যেরূপ কথোপকথন করিয়াছিল, গোলাপের সদগন্ধে যেরূপ আমোদিত হইয়াছিল, এবং পরি তাহাকে স্নেহ কবিয়া যে গোপন কথা বলিয়া দিয় ছিল, এই সমুদয় কথা বলিতে লাগিল । এই রূপ স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে প্রিয়তমশোকে ঐ অকপট প্রণয়িনীর প্রাণ পরিত্যাগ হইল, বালিকা মায়িক দেহ ত্যাগ করিয়া স্বৰ্গধামে আপন প্রিয়তমের সহিত সংমিলিত হইয় পরমানন্দ ভোগে কালক্ষেপ করিতে লাগিল । জুই গাছ শ্বেতবর্ণের পাবড়াগুলী বিস্তারিত করিয়া গন্ধে · চারিদিক আমোদিত করিল, আহা; ইহা ব্যতীত ঐ গাছ আর কি প্রকারে তাহার মৃত্যুজন্য শোক প্রকাশ করিবে ! বালিকার মৃত্যুর পর দুষ্ট ভ্রাতা মনে কৰিল, বোপ হয়