অন্ধকারে দেখতে পায় না, তর্ক করে, “এ বাণী ভয়ার্ত্তের মায়া-সৃষ্টি,
আত্মসান্ত্বনার বিড়ম্বনা।”
বলে, “মানুষ চিরদিন কেবল সংগ্রাম করবে,
মরীচিকার অধিকার নিয়ে
হিংসা-কণ্টকিত অন্তহীন মরুভূমির মধ্যে॥”
৩
মেঘ সরে গেল।
শুকতারা দেখা দিল পূর্ব্বদিগন্তে,
পৃথিবীর বক্ষ থেকে উঠ্ল আরামের দীর্ঘনিশ্বাস,
পল্লবমর্ম্মর বন পথে পথে হিল্লোলিত,
পাখী ডাক দিল শাখায় শাখায়।
ভক্ত বল্লে, সময় এসেচে।
কিসের সময়?
যাত্রার।
ওরা বসে ভাব্লে।
অর্থ বুঝ্লে না, আপন আপন মনের মতো করে অর্থ বানিয়ে নিলে।
ভোরের স্পর্শ নাম্ল মাটির গভীরে,
বিশ্বসত্তার শিকড়ে শিকড়ে কেঁপে উঠল প্রাণের চাঞ্চল্য।
কে জানে কোথা হতে একটি অতি সূক্ষ্মস্বর
সবার কানে কানে বললে,
চলো সার্থকতার তীর্থে।
এই বাণী জনতার কণ্ঠে কণ্ঠে মিলিত হয়ে
একটি মহৎ প্রেরণায় বেগবান হয়ে উঠল।
পুরুষেরা উপরের দিকে চোখ তুল্লে,
জোড় হাত মাথায় ঠেকালে মেয়েরা।