পাতা:পুনশ্চ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
পুনশ্চ

অপূর্ণ যখন চলেচে পূর্ণের দিকে
তার বিচ্ছেদের যাত্রাপথে
আনন্দের নব নব পর্য্যায়।
পরিপূর্ণ অপেক্ষা করচে স্থির হয়ে;
নিত্য পুষ্প, নিত্য চন্দ্রালোক,
নিত্যই সে একা, সেই তো একান্ত বিরহী।
যে অভিসারিকা তারই জয়,
আনন্দে সে চলেচে কাঁটা মাড়িয়ে।

ভুল বলা হল বুঝি।
সেও তো নেই স্থির হয়ে যে পরিপূর্ণ,
সে যে বাজায় বাঁশি, প্রতীক্ষার বাঁশি,—
সুর তার এগিয়ে চলে অন্ধকার পথে।
বাঞ্ছিতের আহ্বান আর অভিসারিকার চলা
পদে পদে মিলচে একই তালে।
তাই নদী চলেচে যাত্রার ছন্দে,
সমুদ্র হলচে আহ্বানের সুরে॥

৭ ভাদ্র, ১৩৩৯


স্মৃতি

পশ্চিমে সহর।
তারি দূর কিনারায় নির্জ্জনে
দিনের তাপ আগ্‌লে আছে একটা অনাদৃত বাড়ি,
চারিদিকে চাল পড়েচে ঝুঁকে।