পাতা:পুরাতন পঞ্জিকা - জলধর সেন.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিহারীর পথে । কল্লাগেটেড, আয়রণের ছাদ-বিশিষ্ট একখানি ক্ষুদ্র বাংলা। বাহিরের দিকে একটি অনতিদীর্ঘ বারান্দা আছে, সেই বারান্দায় উঠিয়া বসিয়া, * বিশ্রাম করিতে লাগিলাম।” ঘরের দিকে চাহিয়া দেখিলাম, দ্বার রুদ্ধ, * - ফলে তালা লাগান, কোন দিকে জন-মানবের সম্পর্ক নাই। কৌতৃহলের বশবৰ্ত্তী হইয়া একবার তালা নাড়িয়া দেখিলাম, কিন্তু তালা খুলিল না। তখন উঠিয়া অগতা অদূরবর্তী দোকানে চলিলাম। দেখিলাম, সে দোকানখানিও বন্ধ, তাহাতে ও তালা লাগান রহিয়াছে । বাংলার চৌকীদারের কোন সন্ধান নাই, দোকানের দোকানী ও নিরুদ্দেশ! তাহাদের সন্ধান বলিয়া দিতে পারে, এমন লোকও কোথাও দেখিতে পাইলাম না। বুঝিলাম, এই নিদারুণ পরিশ্রমের পর ভগবান এবেলা আমাদের অদৃষ্টে একাদশীর ব্যবস্থা করিয়াছেন। এ ব্যবস্থায় কিছুমাত্র নূতনত্ব ছিল না। কারণ, পৰ্ব্বত ভ্ৰমণ আরম্ভ করিয়া একাদশীতে DBLBD DD DBBDBDD S S S DDD DBDBD DBBDB KKDDD DDS DKDYYDS নুরোধে “রিফেশমেণ্ট রুমের’ বন্দোবস্তও কোথাও নাই। সুতরাং বাধ্য হইয়া কখন কখন দুই দিনও নিরস্তু একাদশী করা গিয়াছে, পূর্ণিমা প্রতিপদ, তাহাতে বাধাদান করিতে পারে নাই। তাই সম্মুখে আহারাভাবের পরিপূর্ণ সম্ভাবনা সত্ত্বেও প্রাণে কিছুমাত্র আতস্কের সঞ্চার হইল না ; বেশ নিশ্চিন্তচিত্তে বসিয়া পুৰ্ব্ব কথা স্মরণ করিতে লাগিলাম। মনে হইল, আজ যদি আমার সঙ্গে বদরিকাশ্ৰম ভ্রমণের সঙ্গী পরম বৈদান্তিক শ্ৰীমান অচ্যুতানন্দ স্বামী থাকিতেন, তাহা হইলে এই জনহীন গিরি প্রান্তবস্ত্রী পান্থশালায় উপস্থিত হইয়া মূৰ্ত্তিমতী ক্ষুধার আক্রোশের কিছু পরিচয় পাওয়া যাইত । তাহার বিরক্তিপূর্ণ বদনব্যাদান, তাহার নৈরাশ্যবাঞ্জক দ্রুকুটীভঙ্গী এই অবিচল স্তব্ধ পান্থশালাকেও ব্রিচলিত করিয়া তুলিত। শ্ৰীমান