পাতা:পুরাতন পঞ্জিকা - জলধর সেন.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিহারীর পথে । উপর সাধুর ভণ্ডামিও যে একেবারেই না ছিল এমন নহে ; দেশ কাল পাত্র বিবেচনায় নিজের সন্ন্যাস-গৌরব অক্ষুন্ন রাখিবার নিমিত্ত দুই চারিটি সাধুবাক্যও প্রয়োগ করিতে হইত; কিন্তু তাহার একটি উপদেশও। প্রতিপালন করা কি কঠিন, তাহা বিবেচনা করিয়া দেখিবার সময় । কোন দিন হয় নাই। বাহিরের কম্বল ও ভিতরের আত্মম্ভরিতা ইহাই আমাদের সন্ন্যাসের প্রধান সম্বল। আমরা সাধু ! যাহা হউক, লোকের ভিতরের দিকটা সহসা অন্যের দৃষ্টিপথে পড়ে না, আর বাহ খোলস দেখিয়াই মনুষ্যের মৰ্যাদার বিচার হয়, তাই জমীদার মহাশয় আমাকে একটি মহাতেজস্কর সাক্ষাৎ বিশ্বামিত্ৰতুল্য পরাক্রান্ত তপস্বী স্থির করিয়া আমার অদূরে ধরাসনে সসন্ত্রমে উপবেশন করিলেন। তাহার অনুচর পদাতিকদ্বয় কিছু দূরে বসিয়া শ্রম দূর করিতে লাগিল । আমরা তিহুরী অভিমুখে যাত্ৰা করিয়াছি শুনিয়া, জমীদার মহাশয় আত্মপরিচয় প্রদানে প্ৰবৃত্ত হইলেন। সেই পরিচয় হইতে জানিতে পারিলাম, তিনি তিহারীর রাজার একজন অতি নিকট কুটুম্ব। এই কুটুম্বতাসূত্রে তিনি তিহারীর রাজপরিবার হইতে একখণ্ড ক্ষুদ্র জমীদারী লাভ করিায়াছেন ; এই জমীদারির আয় হইতেই তঁহার সংসার প্রতিপালন ও সাধুসেবার কাৰ্য নিৰ্বিরোধে সম্পন্ন হয়। এ কথাটা শুনিয়া আমাদের সেই শিক্ষা-সভ্যতা-সমাচ্ছন্ন৷ নদীমেখলা, শস্যশ্যামলা বঙ্গভূমি স্বধৰ্ম্ম-নিরত রাজপ্রসাদ-লোলুপ জমীদারী-পুজবগণের কথা মনে পড়িল। তঁহাদের মধ্যে কয়জন সাধুসেবাকে তঁহাদের পারিবারিক কৰ্ত্তব্যের অন্তভূত করেন ? সেরূপ জমীদার বাঙ্গালাদেশে শতকরা একজনও আছেন কি না। সন্দেহ। এমন একদিন ছিল, যেদিন তঁহাদিগের পুণ্যপ্রয়াসী পিতৃপুরুষগণ। পরোপকারসাধনে প্রচুর অর্থব্যয় জীবনের একটি আবশ্যক রূৰ্ত্তব্য মনে করিতেন। তঁহাদের গৃহে বার মাসে তের পাৰ্ব্বৰ্ণ হইত, ' è e S.