পাতা:পুরাতন পঞ্জিকা - জলধর সেন.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিহারীর পথে । তিহারীরাজের বাংলায় থাকা হইল না। বাংলা ছাড়িয়া চলিতে লাগিলাম। বুঝিলাম, আজ মধ্যাহ্নে বিশিষ্ট আয়োজনের সঙ্গে একাদশীর ব্যবস্থা করিতে হইবে। বেলা দশটা না বাজিতেই আকাশে যেন দ্বাদশ DBBBBD DDD DDBS DD KKBDB DLDDD S DBt BBD BDBD চলিতে চলিতে বড় কাতর হইয়া পড়িলেন। আহা ! বৃদ্ধের শ্ৰমখিন্ন দুর্বল পা দু’খানি যেন আর চলে না। আমার অবস্থাও যে বিশেষ আশাপ্ৰদ ছিল, তাহা বলিতে পারি না। অগত্যা আমরা একটি পাৰ্ব্বত্য তরুর ছায়াশীতল মূলদেশে কম্বল প্রসারিত করিয়া বিশ্রামের জন্য উপবেশন করিলাম। সেই মধ্যাহাঁটা পরিপূর্ণ অনশনেই বৃক্ষমূলে কাটিয়া গেল। বেলা দুইটার পর সে স্থান হইতে উঠিলাম। স্বামিজী বলিলেন, “দেহরক্ষার জন্য কিঞ্চিৎ আহার করা একান্ত প্ৰয়োজনীয় হইয়া উঠিয়াছে, অতএব তিহারীর পথ ছাড়িয়া আপাততঃ নিকটবৰ্ত্তী কোন লোকালয়ের পথই দেখা উচিত।” আমি বলিলাম, “সে হাঙ্গামায় আর কাজ নাই ; আমাদের চলিতেই হইবে, সেইটিই প্ৰধান কাজ, আহারটি উপলক্ষ্য মাত্ৰ ; অতএব লক্ষ্য ছাড়িয়া উপলক্ষ্যের সন্ধানে ধাবিত হইবার আবশ্যকত নাই; এই পথেই দেখা যাউক, আহার যদি অদৃষ্ট থাকে ত দেখিব-মা অন্নপূর্ণ পথের কোথাও রুটির থালা সাজাইয়া আমাদের জন্য অপেক্ষা করিয়া বসিয়া আছেন।” স্বামিজী আমার কথার প্রতিবাদ করিলেন না। আমি যদি আহারের কষ্ট সহ্য করিতে পারি, তাহা হইলে তিনি যে নিজের জন্য কিছুমাত্র ব্যাকুল নহেন, তাহা তাহার মুখের ভাব দেখিয়াই বুঝিতে পারিলাম। ঘণ্টা দুই চলিয়া বেলা চারিটা বা সাড়ে চারিটার সময় পথের ধারে একটি গ্রাম দেখিতে পাইলাম। তরুপল্লব-বেষ্টিত ছায়াময় সেই গ্রামখানি দেখিয়া আমাদের চক্ষু যেন ঐতল হইয়া আসিল। বড় রাস্তা Odo