পাতা:পুরাতন পঞ্জিকা - জলধর সেন.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেফালিকার দুঃখ ৷ ” তার পর চারু কতবার গেল, কতবার এলে ; কিন্তু আমার দিকে মুদ্র সে ফিরিয়াও চায় না। কতদিন দেখি পালকী হইতে নামিতেছে ; কতদিন দেখি সে পাল কী চড়িয়া কোথায় যাইতেছে। আমার সহিয়া গিয়াছে; চারুর অনাদর আমার সহ্য হইয়া গিয়াছে। এখন আর আমি বড় বেশী ফুল, দিই নু । অনেক দিন পরে, কত দিন ঠিক বলিতে পারি না, তবে বোধ হয় চারুর বিবাহের ৪। ৫ বৎসর পরে, এক দিন একখানা পালকী আসিয়া চারুদের বাড়ীতে উপস্থিত হইল । তাহার মধ্য হইতে কে যেন এক যুবতী বাহির হইল । বাড়ীর মধ্যে ঘোর কান্না পড়িয়া গেল। এমন কান্না আমি এখন রোজই শুনি। আজ তিন চারি মাস হইতে, এমন দিন যাইতে দেখি নাই, যে দিন এ বাড়ীতে লোক কঁদে না । কি বলিয়া কাদে, তাহারাই জানে। আমার মৰ্ম্মে শুধু সেই করুণ স্বর আসিয়া थांधल राष्ट्र ! সেই দিন সন্ধ্যার সময়, তখনও ভাল করিয়া অন্ধকার হয় নাই, তখন নীল আকাশে দুই একটি তারা উঠিয়াছে; সেই সন্ধ্যার সময় শাদা কাপড় পরা একটি ষোল বৎসরের মেয়ে, আলুলায়িত-কেশা, নিরাভরণা, ধীরে ধীরে আমার তলায় আসিল ; ধীরে ধীরে আমার গায়ে মাথা রাখিয়া কাদিতে’ লাগিল । স্পর্শেই বুঝিলাম, এ আমার চেনা কেহ "কিন্তু এমন শীতল ত তাহার স্পর্শ নহে, এমন মলিন ত তাহার , মুখ নহে, এমন মুহূ ত তাহার পদবিক্ষেপ নহে। ভাল করিয়া চাহিয়া দেখিলাম ;- দেখিলাম চাৰু ! সে চারু নহে ! আজি চার বৎসরের মধ্যে আমার চারুকে একেবারে কে যেন বদলাইয়া দিয়াছে ! চারুর কান্না ' দেখিয়া, আমার কান্না পাইল । সেই শীতল অঙ্গের স্পর্শে আমার রস সব • শুকাইয়া গেল । চারুর কান্নার স্থল আমি । আমার এখন আর পুষ্প q