পাতা:পুরু-বিক্রম নাটক.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○ পুরু-বিক্রম নাটক । সাহসী হলেন ? তার প্রগল্ভতার সমুচিত শাস্তি না দিয়ে আমরা কি এখন তাকে ছেড়ে দেব? তা কখনই হতে भाद्र न। डिनि कि মনে কচ্চেন যে, পৃথিবীর সমস্ত রাজাকে দাসত্ব-শৃঙ্খলে বদ্ধ করে তিনি একাধিপত্য করবেন ? সমস্ত পৃথিবীকে তিনি কি একটা বৃহৎ কারা, গার করে তুলতে চান? না, আমি যদি পারি, তাকে তা কখনই কত্তে দেব না । প্রথম রাজকুমার। ধন্য পুরুরাজ ! দ্বিতীয় রাজকুমার। পুরুরাজ বেশ বলচেন । পুরু। দূতরাজ! লোক্‌কে কষ্ট হতে মুক্ত করবার জন্তই ক্ষত্রিয় নামের স্বষ্টি, সেই বিশুদ্ধ ক্ষত্রিযুরক্ত বিন্দুমাত্র বহমান থাকৃতে কখনই অত্যাচারীর অত্যাচার সমস্ত পৃথিবীর উপর সম্পূর্ণরূপে প্রভুত্ব স্থাপন কত্তে পারবে না। সূৰ্য্য নিস্তেজ হতে পারে, অগ্নিও চন্দনের দ্যায় শীতলম্পর্শ হতে পারে ; কিন্তু ক্ষত্রিযতেজ কিছুতেই নিভিবার নয়, যতদিন ক্ষত্ৰিয় নাম জগতে থাকবে, ততদিনই ইহাদের সেই তেজোময় জয়পতাকা ভারতরাজ্যে অত্যাচারীর পাপমস্তকে নিখাত থাকবে। আমার নিশ্চয় বোধ হচ্চে যে, এতদিনের পর সেকন্দর সার চিরসঞ্চিত গৌরব নিৰ্ব্বাপিত হবার সময় উপস্থিত, না হ’লে কি নিমিত্ত উনি নানা রাজ্য দেশ অতিক্রম করে, অবশেষে এই ভারতরাজ্যে এসে পদার্পণ করেন ?—ক্ষত্ৰিয়বাহুবলে বনরাজের দাসত্ব হতে মুক্ত । হয়ে, পৃথুীবাসিগণ পরে যাহা বলবে, তাহা এখনি যেন আমার কর্ণে ধ্বনিত হচ্চে। তার আহ্লাদিত চিত্তে গদগদ স্বরে এইরূপ বলতে