পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

etrę পুরোহিত-দৰ্পণ । 8५ श्वe { তিল, মধু ও ঘূতমিশ্রিত বিম্বপ্রমাণ তপ্তপিও গ্রহণপূর্বক নিম্নমন্ত্র পাঠ করিয়া, পূর্বকৃত স্থানে কুশোপরি প্রদান করিবে । মন্ত্র যথা ;-- “অমুকগোত্রস্য প্রেতস্য অমুকদেবশৰ্মণঃ প্রথমপিণ্ডং পূরকম্। এইরূপে “দ্বিতীয়পিণ্ডং পুরকং” “তৃতীয়পিণ্ডং পুরকং” প্রভৃতি দশম পিণ্ড পৰ্য্যস্ত বলিয়া দিবে। সমস্ত পিণ্ডদান হইয়া গেলে “অবনেনিস্ফ"—মন্ত্রে হস্তপ্রক্ষালিত জল পিণ্ডের উপর দিয়া নিয়মন্ত্র পাঠ করিয়া পিণ্ডের উপরি উর্ণতন্তুবাস ( মেষাদি লোম নিৰ্ম্মিত বাস অপ্রাণ্ডে মেষ লোম দেওয়ার ব্যবহার আছে ) প্রদান করিবে । মন্ত্র যথা,— “অমুকগোত্র প্রেত অমুকদেবশৰ্ম্মন্নেতত্তে উর্ণাতন্তুময়ং বাসঃ ।” অনন্তর কঁচা মাটির পাত্রে করিয়া জল পিণ্ডের কাছে রাখিয়া যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত পিণ্ডে বাম্প দেখা যাইবে, ততক্ষণ পর্য্যন্ত সেই স্থানে থাকিবে। যদি সায়ংকালে দেওয়া অসুবিধা হয়, তবে পিণ্ডদানের পরেই নীর-ক্ষীর দান করিয়া, পিণ্ডগুলি জলে নিক্ষেপ করিয়া স্বানান্তে প্রত্যাগমন করিবে । অকুপনীত বালক ও অবিবাহিত কন্যার পিণ্ড কুশোপরি দিবে না । নীর-ক্ষীর-পদ্ধতি । কাষ্ঠের ত্রিপদী প্রস্তুত করিয়া তাহার উপর মাটির র্কাচাপাত্রে জল এবং আর একটা মাটির র্কাচ পাত্রে দুগ্ধ লইয়া নিগ্নমন্ত্র পাঠ করিয়া পিণ্ডের উপরি প্রদান করবে। কোন কোন স্থলে কেবল নিম্নমস্ত্রে নিবেদন করিয়া দেওয়ারও প্রচলন আছে। প্রত্যেক পিণ্ডে ক্ষীরপাত্র একট, নীরপাত্র পিণ্ডসমসংখ্যক। সথা – প্রথম পিণ্ডে একট, দ্বিতীয় পিণ্ডে দুইটী, তৃতীয় পিণ্ডে তিনটী, এইরূপ দশপিণ্ডে পঞ্চাল্লট জলপাত্র দিবে। কাচামাটির পাত্রের অভাব হইলে, তাহার পরিবর্তে ঐ বেদীর একপাশ্বে পঞ্চান্নটী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত করিয়া তাহাতে নীর-ক্ষীর দেওয়া যায়। মন্ত্র যথা—“প্রেতাত্র স্নাহি পিব চেদং ক্ষীরম্।” পরে কৃতাঞ্জলি হইয়া পাঠ করবে। “ওঁ শ্মশানানলদগ্ধোহসি পরিত্যক্তোহসি বান্ধবৈঃ। ইদং নীরমিদং ক্ষীরমত্র স্নাহি ইদং পিব । আকাশস্থো নিরালম্বো বায়ুভূত-নিরাশ্রয়ঃ। ইয়ং নীরমিদং ক্ষীরং স্বাত্বা পীত্ব সুখী তব ॥” Eki “ন স্বাঞ্চ প্রযুঞ্জীত প্রেতপিণ্ডে দশহিকে ॥ ভাৰ্ষিদ্বৈতচ্চ পিণ্ডং বৈ দেব