৭৫e পুরোহিত-দর্পণ । 8५ १७ ॥ নৈবেদ্য দিয়া নৈবেদ্য শেষ দ্বারা বিষ্ণুলোক প্রাপ্তি কামনায় স্বীয় উদ্দেশে “ওঁ এষ পিণ্ডো, ময়া দত্তস্তব হস্তে জনাৰ্দ্দন । গয়াশীর্ষে ত্বয়া দেয়ো মহং পিণ্ডো স্বতে ময়ি ॥” বলিয়া জনাৰ্দ্দন মূৰ্ত্তির বাম হস্তে এক পিণ্ড দিবে। অগ্নি পুরাণে পিণ্ডত্রয় দানের উল্লেখ আছে । যদি পিণ্ডত্রয় দিতে হয় তবে “ওঁ এতে পিণ্ড ময়া দত্তাস্তব হস্তে জনাৰ্দ্দন । পরলোকগতে মহমক্ষয্যমুপতিষ্ঠতাং”—বলিয়া পিণ্ডত্রয় দিবে। অন্য জীবিত ব্যক্তিগণের উদেশে পিণ্ড দিতে হইলে নৈবেদ্য শেষ দ্বারা “ওঁ এম পিণ্ডে ময়া দত্তস্তব হস্তে জনাৰ্দ্দন। দেহি দেব গয়াশীর্ষে তস্মৈ তম্মিল মৃতে তু তং” বলিয়া পিণ্ড সমূহ দিবে। ওঁ জনাৰ্দ্দন নমস্তুভ্যং নমস্তে পিতৃরূপিণে । পিতৃপতে নমস্তুভ্যং নমস্তে মুক্তিহেতবে ।" এই মন্ত্ৰে জনাৰ্দ্দনকে নমস্কার করিয়া ঋণত্রয় মুক্তিকামনায় পুণ্ডরীকাক্ষকে দর্শন করতঃ স্বর্গ কামনায় অর্চনা করিয়া “ওঁ লক্ষ্মীকান্ত নমস্তেহস্ত নমস্তে পিতৃমোক্ষদ। ত্বাং ধ্যাত্বা পুণ্ডরীকাক্ষং মুচ্যতে চ ঋণত্রয়াৎ ৷” বলিয়া নমস্কার করিয়া মহানদীর পরপারগত ভরতাশ্রম সমীপে মহানদীতে স্বানকরতঃ রামেশ্বরকে পূজা করিয়া প্রেত-শিলাকৃত্য লিখিত “ওঁ রাধ রাম মহাবাহো”—ইত্যাদি ময়ে সীতার সহিত রামকে প্রণাম করিয়া পিতার কুলশত সহিত নিজের বিষ্ণুপুর গমন কামনায় রামপদে শ্রাদ্ধ বা মাত্র পিণ্ড দিয়া কুন্দ পৰ্ব্বতে পিতা প্রভূতির ব্ৰহ্মপুর নয়ন কামনায় এবং তত্ৰত্য মতঙ্গপত্রে পিতার স্বর্গ কামনায় শ্ৰাদ্ধ এবং সেই স্থানে উদান্তকুণ্ডে মধ্যাহ্নে মধ্যাহ্নস্নান, সন্ধ্যোপাসনা ও তত্ৰত্য সাবিত্রীর পূজা করিবে। অগস্ত্যপদে স্বান ও পুজাদি করিয়া পিতার ও নিজের ব্রহ্মলোক প্রাপ্তি কামনায়, ব্ৰহ্মযোনিতে প্রবেশ করিয়া পুনর্নির্গমন করিবে। গয়াকুমারকে প্রণাম করিলে ব্রাহ্মণ্য লাভ হয় । পিতৃগণের চন্দ্রলোক প্রাপ্তি কামনায় সোমকুণ্ডে স্বান, তৰ্পণ ও শ্রাদ্ধাদি কৰ্ত্তব্য । কাক শিলাতে সপ্ত জন্মকৃত পাপক্ষয় হেতু-—“ওঁ বমোছলি যমদুতোইলি বায়সোহসি মহাবল । সপ্ত-জন্ম-কৃতং পাপং বলিং ভুক্ত ৰিমাশয় ।” এই মন্ত্রে কাক বলি প্রদান করিবে। স্বৰ্গপ্রাপ্তি পুৰ্ব্বক ব্ৰহ্মলোক গমন কামনায় স্ব গদ্ধারন্থ ঈশানকে প্রণাম করিবে । পিতৃ নিষ্পাপার্থ ষ্যোমগঙ্গায় ভষ্মকুটাদিতে স্বৰ্গ প্রাপ্তি কামনায় তন্মত্বারা স্বান কবিৰে । অক্ষয় বট সমীপে বটেশ্বর ও প্রপিতামহ এবং কপিলানীতে, কপিলেশ্বরের পুঞ্জ
