পাতা:পুরোহিত-দর্পণ.djvu/৯৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম খণ্ড । झूवृक्री-ज्रङ् । - . న8ఫె মার কাছে গিয়ে বলে “মা ! সবাই ভাল ভাল খাবার খায়, আমিও খাবার খাব ৷ আমার বড় মাংস খেতে ইচ্ছা হয়েছে”। ব্রাহ্মণী উত্তর ক’ল্লেন, “তুমি বড় কাঙ্গালিনীর ছেলে, তুমি খাবার কোথায় পাবে বাবা-বড় হও, রোজগাব কর, তারপরে খেও ।” বালক আর কোন কথা কহিল না--- চলিয়া গেল । সেই দিন সন্ধ্যার সময় রাজার হাসের পাল নিয়ে হংসপালের রাজবাড়ী চলিয়া গেল, কেবল খোড়া হাসটা বেশী হঁটিতে না পারায় পাছে পড়ে গিয়েছিল,—ব্রাহ্মণবালক তাই দেখে খোড়া ইসকে ধ’রে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে মার কাছে গিয়ে উপস্থিত হ’য়ে ব’ল্লে, “আমি হাসটি নিয়ে এসেছি মাংস খাব—আমায় রোধে দাও।” রাজার র্থোড়া হাস দেখে ব্রাহ্মণীর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়িল,-পুত্রের অমঙ্গল আশঙ্কায় তিনি অনেক দুঃখ, অনেক হা হুতাশ ক’রে শেষে পাখাচোখ গুলি পাসগাদায় পুতে রেখে পুত্রকে মাংস রোধে খাওয়ালেন । এদিকে রাজা—তার সকল ইসি ফিরে এল, খোড়া হাস আসিল না দেখে মহা চিন্তান্বিত ও রাগাম্বিত হয়ে হঁসি-রক্ষকদের গালাগালি দিতে লাগিলেন এবং বল্লেন, যেখানে হাস পাবি এখনি আনবি—কোতোয়ালগণকে ডেকে আদেশ দিলেন, যে হাস ধবেছে, তাকে ধরে এনে বুকে পাযtণ দিয়ে কয়েদ কর । সকলে নগরময় ইসে খুজে পায় না, তারপর সেই ব্রাহ্মণীর পীসগাদায় খোড়া হাসের পাখা দেখতে পেয়ে ব্রাহ্মণ-বালককে ধ’রে রাজার কাছে আনলে । রাজা হুকুম দিলেন, ওর বুকে পাষাণ চাপা দিয়ে কয়েদ কর । তাই করা হল । ব্রাহ্মণী পুত্রের দুর্দশার কথা শুনে, না খেয়ে না দেয়ে কান্তে লাগলেন। তখন পাড়ার পাঁচ মেয়ে উপস্থিত হয়ে কেউ বল্পে, রাজার কাছে কেঁদে ছেলের মুক্তির জন্য ধরগে, কেউ বল্পে, যে দুষ্ট রাজা তা হবে না । সুবচনী-ব্ৰত কর—হারা ছেলে পুনরায় পাবে। এই ব্রত কল্পে হারা ছেলে পাওয়া যায়, ওর পুকুরের জল দিলে মরা ছেলে আবার বঁচে–অবিবাহিতার বিবাহ হয়, নিধনী ধন পায় । ব্রাহ্মণী তাই শুনে সুবচনী-ব্রত কল্পেন,-পুকুরের জল নিয়ে যেখানে খোড়া ইসের হাড় গোড় । ছিল, তার উপরি ছড়াইয়া দিলেন । মরা ইাস বেঁচে উঠলে, সে রাজবাড়ী চলৈ গেল । রাজা তাই দেখে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হলেন । 6 సె